শোয়েব মালেক এবারের বিপিএলে একটি অনন্য কীর্তি করেছেন। যেখানে ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম এবং একমাত্র এবং সম্ভবত আরও বহুদিন তাঁকে ওই প্রথম এবং একমাত্র হয়ে থাকতে হবে। কীর্তি এটা কি এক ওভারে ৩টি নো বল দেওয়া। তবে এটা পেস বোলারদের ক্ষেত্রে এটা কখনো কখনো হয় রেকর্ডও রয়েছে। কিন্তু ছেলেদের স্বীকৃত টি-২০ ম্যাচে কখনওই কোনও স্পিনার ডান হাতি অফস্পিনার,বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার, চায়নাম্যান বোলার বলেন কখনোই কোন স্পিনারের এক ওভারে, ওভার স্টেপিংয়ের কারণে ৩টি নোবল দেওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়। ছেলেদের স্বীকৃত টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে নেই এমন একটি উদাহরণ।

ফলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচটাতে শোয়েব মালেক যখন এক ওভারে ৩টি নো বল দিলেন, সেটা ব্যাপক সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ব্যাপক গুঞ্জন ফিসফাস জন্ম দিয়েছে স্পট ফিক্সিংয়ের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের এবং সেই গুঞ্জন সন্দেহ ও অবিশ্বাস শুধুমাত্র দর্শক সমর্থক মিডিয়ার কথাতে সীমাবদ্ধ নেই। এমনকী খোদ ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান ন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেলে গিয়ে শোয়েব মালিকের ওই এক ওভারে ৩টি নো বল এর তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।শোয়েব মালেক এর পর থেকে ছুটি নিয়ে ফরচুন বরিশাল থেকে চলে গেলেন। তারপর সেই ছুটিটা যখন তিনি বাড়াতে চাইলেন ফরচুন বরিশাল জানিয়ে দিলেন যে, তাঁকে আর প্রয়োজন নেই। প্রেস রিলিজ দিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়ে দিয়েছে, এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে শোয়েব মালিক আর খেলবেন না। অথচ কী আশ্চর্য আজ আবার আরেকটি প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হল, শোয়েব মালেক আবারও ফিরছেন ফরচুন বরিশালে। বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে তাঁকে দেখা যাবে।

গত ২ তারিখে তিনি ফিরছেন এবং ৩ তারিখে বরিশালে পরের ম্যাচ, সেই ম্যাচের জন্যই তিনি দলে থাকবেন। কেন কী কারণে বিপিএলটা ১টা সার্কাসের চূড়ান্ত জায়গায় হয়ে গেছে। তারই আরও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে শোয়েব মালিকের এই চলে যাওয়া এবং ফিরে আসার নাটকটা। কিন্তু শোয়েবকে কেন ফেরাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এই ফরচুন বরিশাল, এটা কি বাধ্য হয়ে এটা কি ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য?

এবং সেটা শুধুমাত্র একপক্ষের জায়গা থাকে না। অনেকগুলো জায়গা থেকে সেটা বলা যেতে পারে। শোয়েব মালেক ফেরার পর তাঁর ১টি বিষয় দিকে তার খেলার সেই দিকে আমাদের খুব করে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেই বিষয়টা কী ?

ঘটনাটা ঘটেছিল ফরচুন বরিশালের এক ওভারে বিপিএলের সেকেন্ড ম্যাচটাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে যেখানে শোয়েব মালিক বোলিংয়ে এসে এক ওভারে ১৮ রান দিয়েছেন। টি-২০ তে সেটা কোন সমস্যার জায়গা না। বিপিএলে এর চেয়ে বেশি রান এক ওভারে হতে পারে। কিন্তু তিন তিনটি নো বল একজন অফ স্পিনার হয়ে যিনি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে প্রায় ২৫ বছরের অভিজ্ঞ। এত অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার এরকম করবেন। এটা আসলে এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার।

আর এখন যেহেতু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দেওয়ালটা ভেঙে দেওয়ার মতো অনেকগুলো কাণ্ড ঘটে, সেই কারণে শোয়েব মালিকের এই কাণ্ডটা স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহের আওতায় পড়েছে। যেটা ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান। তিনি পর্যন্ত ওই একি কথা বলেছিলেন? এই এক ওভারে ৩টি নো বল দেওয়ায় তদন্ত হওয়া উচিত।