টি২০ বিশ্বকাপ গুরুত্বপূর্ণ সেই গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের দলে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হিসাবে অটোমেটিক চয়েস হিসেবে যদি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরিতে না পড়েন তাহলে বিশ্বকাপ দলে থাকা উচিত, সুযোগ দেওয়া উচিত রাজনীতিরর বাইরে গিয়ে। রিয়াদ অটোমেটিক যতটুকু সুযোগ পাওয়ার যোগ্য তার থেকে রিয়াদকে অটোমেটিক বাদ দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা সহজ।

তিন-চার মাস আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন জাতীয় দলের ওয়ানডেতে ছিলেন না, ঠিক তখন যে কাউকে প্রশ্ন করলে, রিয়াদের চান্স আছে কিনা? তখন তারা মনে করতেন রিয়াদের ছয়-সাত জন প্রতিদ্বন্দী আছে যে তারা রিয়াদের থেকে এগিয়ে।

রিয়াদ ১টি ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ক্রিকেটে সুযোগ পেলেন। ভালো খেলার ফলশ্রুতিতে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সুযোগ দিতে বাধ্য হলো। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং পেলেন না, দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল। এরপর থেকে রিয়াদ তাঁর খেলা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনি।

বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং কি বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকেও। সেই সময় অনেকেই অটোমেটিক চয়েস ছিলেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, রনি তালুকদার সবাই অটোমেটিক চয়েস। যে শর্টলিস্ট হয়েছে সেখানে রিয়াদকে নিয়ে তাদের সেই ভাবনাটুকু নেই। সিলেকশন প্যানেলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের একজন রিয়াদের নাম শুনেই চলে যান। আরেকজন হচ্ছে খুব স্মার্টলি বললেন, এখন তো আসলে বলার সময় না কেবল বিপিএলে চার-পাচঁটি ম্যাচ হয়েছে৷

রিয়াদকে টি 20 বিশ্বকাপের দলে দেখতে চাই। শেষ ম্যাচটা যেটা বরিশালের হয়ে খেলেছিলেন সে ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে যেতে তিনি ব্যাট করছিলেন যে ভাবে ফিনিশিং করেছিলেন ১৭ ওভারের সময়। মুশফিকুর যখন আউট হয়ে যায় তখন বরিশালের রান ছিল একশ ৩৪ পরের তিন ওভারে ৫২ রান।মাহমুদউল্লাহর সাথে মিরাজের পার্টনারশিপ ৫০ রানের৷ যেটা ছিল মাত্র ১৮ বলে। যে ভাবে খেলেছেন, যেভাবে বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন, গ্যাপ বের করেছে সব কিছু মিলিয়ে অসাধারণ ছিল।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবারের বিপিএলে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে যত ক্রিকেটার রয়েছেন তাঁদের মধ্যে হাই স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন সোফার। শেষ ম্যাচের ২১২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে। সেই কারণে তাঁর স্ট্রাইক রেট এত বেশি হয়ে গেছে।

এবার বিপিএলে ৬৩ টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন রিয়াদ, সেই ৬৩ বল ছিল ৫ ম্যাচের গড় বলের সংখ্যা। তার মানে হচ্ছে তার প্রতি ম্যাচে গড়ে বল খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ১২টি করে। শেষ ম্যাচে ২৪ বলে ৫১ করেছেন। এই ২৪ জন যদি বাদ দিয়ে দিই তাহলে শেষ চার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাত্র ৩৯ বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম চার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বল খেলার গড় ১০ এর নিচে। কিন্তু তার সঙ্গে যাদের তুলনা করা হয় তাদের এবারের বিপিএলে স্ট্রাইক রেট তেমন ভালো না।

অন্যদিকে তার থেকে বেশি বল খেলার সুযোগ পেয়েছে তার থেকে তুলনামূলক ভাবে বেশি চান্স পেয়েছে ৷ অন্য দলের হয়ে তাদের অবস্থাটা কোথায়? সিলেটের সাথে কালকে ম্যাচ ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারের বিপিএলের এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র ৬৯ রান। ফর্ম খারাপ যাচ্ছে যেতে পারে। তিনি আবার কামব্যাক করবেন। শান্ত ৬৯ রান যেমন করেছেন স্ট্রাইক রেট হচ্ছে ১০০ নিচে।

রনি তালুকদার ৮০ আশপাশে রান করেছেন।স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রনি তালুকদার থেকে ডাবল স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। শান্ত কিংবা রনি তালুকদার টপ অর্ডারে ব্যাট করেও এ অবস্থা।

এতো কিছুর পরও টি ২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড কেন্দ্রিক আলোচনায় শর্ট লিস্টে রিয়াদকে হয়তো বা রাখতে চাইব না। সাকিব তামিমকে নিয়ে আমরা আলোচনা করি। আমি করি অনেক আলোচনা হয় না।ইন্টারভিউ হয় তাঁর ইন্টারভিউ দেন সেই গুলোকে কেটে কেটে কেটে কেটে বিভিন্ন হয় তদন্ত কমিটি হয় তাদের সাথে কথা বলে কত কিছু ঘটে।একবার ভাবার চেষ্টা করুন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো হিরোদের কে বাদ দিয়ে যখন তরুণদের কথা বলা হয় এবং সেই তরুণরা যখন এ রকম পারফর্ম করে, ঠিক তখন সেখান টায় অভিজ্ঞতার অনেক প্রয়োজন হয় সেটার বার বার প্রমাণ করে দিলেন রিয়াদ। তাই আমরা আসা রাখতে পারে টি-২০ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখা হবে।