টি-২০ বিশ্বকাপে অবহেলিত বাংলাদেশ, বাংলাদেশের পাশে মিডিয়া
অর্থাৎ সমর্থকেরা এবার বিশ্ব মিডিয়াকে পাশে পাচ্ছে। ফেক ফিল্ডিং থেকে শুরু করে, ওয়াইড না দেওয়া কিংবা কোহলির কলে নো বল দেওয়া। কিংবা ভেজা মাঠে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের নামতে বাধ্য করা। এসব কিছুর সমালোচনা এখন শুধুই দেশি সমর্থকরা কিংবা গণমাধ্যম করছে না, বিশ্ব গণমাধ্যম ও যুক্ত হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম এমনও বলেছে "আইসিসির বিশ্বকাপ আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তাটাই কি? সরাসরি ট্রফিটা ভারতকে দিয়ে দিলেই পারে।"অনেক সাবেক ক্রিকেটাররাই আইসিসিতে ফিফার মতো নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
আইসিসির রেভিনিউর ৯০% ভারতের দ্বারা উঠে আসে। ভারত ফাইনাল খেললে আইসিসি অনেক বেশি লাভবান হয়। ফলে তাদের প্রতি কিছুটা পক্ষপাতিত্ব সবসময় দেখিয়ে থাকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এবার এ বিষয়টি খোলামেলাভাবে সমালোচনা করেছেন সবাই। অর্থাৎ এই প্রথমবার বিশ্ব মিডিয়াকে পাশে পেয়েছেন বাংলাদেশ। সবাই যেন আইসিসির পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ। যদিও জনপ্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যক হারশা ভোগলে বলেছেন"বাংলাদেশ আমরা আপনাদের বন্ধু।
দয়া করে ফেক ফিল্ডিং কিংবা মাঠ ভিজা ছিল এ ধরনের অজুহাত তোলা বন্ধ করুন। আপনাদের একজন সেট ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত থাকলেই খেলাটি বের হয়ে যেত। বড় হতে চাইলে এসব অজুহাত দেওয়া বন্ধ করে নিজেদের খেলার দিকে মনোযোগ দিন। আমরাও চাই আপনারা বড় দল হয়ে উঠুন"। হারশা ভোগলের কথাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দিনশেষে নিজেদের ভুলের কারণে ম্যাচটি হারতে হয়েছে টাইগারদের। সে সময় জেতার অবস্থানেই ছিল টাইগাররা। নিঃসন্দেহে সে জায়গা থেকে ম্যাচ ছাড়ার দায় টাইগার ক্রিকেটাররাই নিবেন।
তবে এখানে বড় দল কিংবা ছোট দল হওয়ার বিষয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আম্পায়ারদের নিরপেক্ষ থাকা। তা না হলে জেন্টালম্যান গেম ক্রিকেট তার আসল সৌন্দর্যটাই হারিয়ে ফেলবে। এছাড়াও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও সাকিব আল হাসানের আউট নিয়ে বেশ জল ঘোলা হয়েছে। ছোট দলদের বিপক্ষে আইসিসির তুলনামূলক কম মূল্যায়ন করা নতুন কিছু নয়। তবে তাদের নিরপেক্ষভাবে খেলার সুযোগ তো করে দিতেই হবে। বিশ্ব মিডিয়ার সমালোচনায় তিক্ত হয়ে আইসিসি ভবিষ্যতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক এটাই প্রত্যাশা।