মাত্র ২ টাকা বিক্রি হচ্ছে আম
এছাড়া জেলার ইসলামপুর, শিবগঞ্জের পুকুরিয়া পেট্রলপাম্প, শ্যামপুর, ধূধূবাজার, চামাভান্ডার ও বাজিতপুরে এলাকায় শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এর আগে সোমবার (৪ মে) রাত ১০টায় জেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। এসময় ব্যাপক আম ঝরে পড়ে।
কানসাট ইউনিয়নের সুজা মিঞা বলেন, সোমবার রাতে ঝড়ে পড়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে তিন মণ আম কুড়াই। কুড়ানো আমের প্রায় ২০ কেজি আচারের জন্য রেখে দেই। বাকি আম বাজারে বিক্রি করেছি দুই টাকা কেজি দরে।
সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাতেন আলী বলেন, প্রায় দেড় মণ আম কুড়িয়েছি। আম ৮০ টাকা মণ করে বাড়িতে এসে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান।
ঝাউ বাজার এলাকার মনির বলেন, তিনি রাতে দুই মণ আম কুড়িয়েছিলেন। আর সকালে গ্রাম থেকে ৩০ মণ আম কিনেছেন ৮০ টাকা দরে। পরে দুপুর ১২টায় শিবগঞ্জের পাইলিং মোড়ে বিক্রি করতে এসেছেন। এতে প্রায় ১৫০০ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
পাইলিং মোড়ের আম ব্যবসায়ী সাদিকুল বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রায় এক ট্রাক আম কিনেছেন। এসব আমের দাম পড়েছে ৮০-৯০ টাকা মণ।
তিনি আরও বলেন, তার কেনা আম ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। সেখানে এক মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা মণ দরে।
তার দাবি, আর ১০-১৫ দিন পরে আমগুলো বাজারে নামতো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে জেলা জুড়েই হালকা ঝড় হয়েছে। এতে কিছু আম ঝরে পড়লেও এ বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার ৩৪ হাজার ৭৭৮ হেক্টর বিঘা জমিতে আম চাষ হয়েছে বলে জানান তিনি।