এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

অভিষেক ম্যাচেই ১১ উইকেট অর্জন জয়াবিক্রমার। ১৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ছুড়ে দেওয়া বড় লক্ষ্যে ছুঁতে তখনও অনেক রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। তবুও লিটন-মিরাজের ব্যাটে কিছুটা হলেও আশা বুনছিলেন সমর্থকরা। সেটিতে পানি ঢেলে দেন লিটন। পঞ্চম দিনের শুরুতেই জয়াবিক্রমার বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন লিটন। লঙ্কানদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলেও রিভিউ নেন লিটন। অবশ্য তাতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।
ফলে ৪৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস শেষ হয় তখনই। লিটনের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ম্যাচ হারা কেবল ছিল সময়ের ব্যবধান। তবুও তাইজুল ক্রিজে কিছুক্ষণ ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল থার্ড ম্যানের দিকে ঠেলে দিতে গিয়ে উইকেতকিপার নিরোশান ডিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৩০ বলে ২ রান করা তাইজুল।
তাইজুলের মতো লঙ্কানদের বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেন তাসকিনও। ৩৩ বলে ৭ রান করে রামেশ মেন্ডিসের বলে বিদায় নেন তাসকিন। তখনও জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২১০ রান। তাসকিনের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরেন মেহেদী মিরাজও।
জয়াবিক্রমার বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করা নিশাঙ্কা দারুন এক ক্যাচ তালুবন্দী করেন। ৩৯ রান করা তাইজুল বিদায় নিলে ওই ওভারে শেষ বলেই এলবির শিকার হয়ে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। লঙ্কানদের হয়ে দুই ইনিংসে একাই ১১ উইকেট নেন জয়াবিক্রমা।
এর আগে দিনের প্রথমদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে লাহিরু থিরিমান্নের ১৪০ এবং লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের ১১৮ রানের সুবাধে প্রথম ইনিংসে ৪৯৩ রান দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন। ৭ উইকেটের মধ্যে বল হাতে একাই নেন চারটি।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম ইকবালের ৯২ রানের পরও প্রবীন জয়াবিক্রমার স্পিন জাদুতে ২৫১ রানেই অল-আউট হয় বাংলাদেশ। টাইগারদের ফলো-অনে না ফেলেই দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। করুনারত্নে ও ধনঞ্জয়ার ব্যাটিংয়ে ২২৭ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা।