ম্যাচ হেরে ইতিহাসকে বাচিয়ে রাখলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে ক্রিস লিনের ব্যাট থেকে। ৩৫ বলের মোকাবেলায় ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ৩১, ঈশান কিষাণ ১৯ বলে ২৮ ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৫ বলে ১৯ রান করেন। ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে ৫টি উইকেট একাই শিকার করেন হার্শাল পেটেল।
কেবল শেষ ওভারেই শিকার করেন তিনটি উইকেট, যে ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১ রান জড়ো করে মুম্বাই। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৩৬ রানে। অধিনায়ক বিরাট কোহলির সাথে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর, যিনি বল হাতে করেছিলেন মাত্র ১ ওভার।
সুন্দরের পর রজত পতিদারও দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন। কোহলি এদিন তেমন মারকুটে ভূমিকা নিতে পারেননি। ২৯ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি হাঁকান ৪টি চার। বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আলোচিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
শেষদিকে কিছুটা চাপ ভর করলে সেই চাপ দূর করেন প্রোটিয়া সুপারস্টার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার ২৭ বলের মোকাবেলায় গড়া ৪৮ রানের ইনিংস দলের জয়ের ভীত গড়ে দেয়, যে ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। যদিও শেষ ওভারে এবিকে শিকার করে নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল মুম্বাই।
শেষপর্যন্ত শেষ বলে হার্শালের ব্যাটে কাঙ্ক্ষিত দেখা পেয়ে কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্যাঙ্গালোর। আর এই ম্যাচ হেরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের ইতিহাসকে বাচিয়ে রাখলো। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এখন পর্যন্ত আইপিএলে প্রথমে জয় লাভ করতে পারেনি। মুম্বাইয়ের পক্ষে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মার্কো জানসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।