অনেকেই মনে করেন যে, শুধুমাত্র শিশুদের শক্ত হাড়ের জন্য দুধ খাওয়া দরকার। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদেরও যে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম দরকার তা তারা জানেনই না। ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় দুগ্ধ জাতিও খাবারে যেমন- দুধ, চিজ, দই, সামুদ্রিক খাবারে এবং সবুজ সবজিতে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করুন।

কারণ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ বলছেন যে, নারী ও পুরুষ সবারই প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম করে ক্যালসিয়াম দরকার। চলুন জেনে নেয়া যাক ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে যে মারাত্মক প্রভাব পড়ে বা যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সে সস্পর্কে-

দাঁতের গর্ত: যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম পায় না, এটি অন্যান্য উৎস থেকে খোঁজে, যেমন আমাদের দাঁত। এর ফলেই ধীরে ধীরে দাঁতে গর্ত হতে থাকে।

অসাড় অবস্থা: পায়ে খিঁচুনি ধরার মতো ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে আমাদের হাতের স্প্ল্যাশাল স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায়। যদি আপনি আগুলের ওপর অস্থিরতা বা ঝলকানি সংবেদন অনুভব করেন তাহলে এখুনি ক্যালসিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করান।

হৃদরোগের আক্রমণ: জৈবপ্রযুক্তি জাতীয় কেন্দ্র বলছে যে, ক্যালসিয়াম পেশী সংকোচন এবং নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ দরকারি। সুতরাং ক্যালসিয়ামের অভাব হৃদরোগের আক্রমণের কারন হতে পারে।

ভঙ্গুর নখ: দাঁত ও শরীরের মতো নখেও ক্যালসিয়াম থাকে। অতএব, একটি ক্যালসিয়াম-অনাহারী শরীর পুষ্টির জন্য সেখান থেকে ক্যালসিয়াম নেবে। এটার জন্যে আমাদের নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়, যদি পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করা হয়।

পায়ে খিঁচুনি ধরা: যদি পায়ে খেঁচুনি ধরা অনুভব করেন, তবে বুঝে নিন এটি ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রথম লক্ষণ। এর প্রতিকারে নিশ্চিত হোন যে, আপনার রোজকার খাবারে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম রয়েছে কিনা। তাছাড়া, ক্লেভেলান্ড ক্লিনিক বলছে যে, শোওয়ার আগে পা প্রসারিত করুন তাতে ব্যথা কিছু কম লাগবে।

ঘুমের অসুবিধা: মেডিকেল তথ্য অনুসারে, ক্যালসিয়াম সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে। যা কিনা ঘুমের জন্যে দায়ি। যখন আপনি গভীর ঘুমে যান, তখন আপনার ক্যালসিয়ামের লেভেল বেড়ে যায়। সুতরাং যদি রাতে কম ঘুমান, তাহলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব বাড়বে।

বাজে অঙ্গবিন্যাস: কম ক্যালসিয়াম মানে, দুর্বল হাড় এবং দুর্বল হাড় মানে দুর্বল শরীর। আর শরীর এই দুর্বলতার জন্যে জবুথবু হয়ে যাবে। এই বাজে অঙ্গবিন্যাসের জন্যে পিঠে ও কাঁধে ব্যথা বাড়বে।

স্মৃতিশক্তি হ্রাস: ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে স্নায়বিক উপসর্গগুলো হয়। স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ভুলে যাওয়া ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়ে থাকে।