৬,৬,৬,৬,৬,w,w,w,w,w,w অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব
মাত্র ১৭.১ ওভারেই ১৪৪ রান অলআউট হয়েছে তারা। ২০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের। টিম সেইফার্ট এবং কেন উইলিয়ামসন দ্রুত ফিরলেও মার্টিন গাপটিল আর ডেভন কনওয়ের ব্যাটে বেশ ভালোই এগুচ্ছিলো কিউইরা। কিন্তু অ্যাস্টন অ্যাগারের করা এক ওভারেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।
১৩তম ওভারে বোলিং এসে এক ওভারেই একে একে গ্লেন ফিলিপস, ডেভন কনওয়ে এবং জিমি নিশামের উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। এরপর আরও ৩ উইকেট শিকার করেছেন ম্যাচসেরা অ্যাগার। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৩০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ৪ ওভারে ২৪ রানে গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার রিলে মেরিডিথ।
এর আগে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকতে হলে ওয়েলিংটনে আজ জয়ের বিকল্প ছিলো না অস্ট্রেলিয়ার। ওয়েলিংটনে টসে জিতে সফরকারীদের প্রথমে ব্যাটিয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিংয়ে এসে শুরুতেই হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারায় তারা।
দলীয় ৬ রানে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে ফিরেন অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শুরুতে উইকেট হারালেও জশ ফিলিপেকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে ৫১ বলে স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান যোগ করেন এ দুজন। ২৭ বলে ৪৩ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হন জশ ফিলিপে।
তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি তুলে নেন অ্যারন ফিঞ্চ। তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে ৩৫ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন অজি অধিনায়ক। ৮ চার আর ২ ছয়ে ৪৪ বলে ৬৯ রানের মাথায় ইশ সোধির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তবে ফিঞ্চ সাজঘরে ফিরলে ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। জিমি নিশামের করা ১৭তম ওভারেই নেন ২৮ রান।
২৫ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন অজি অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৭০ রানে টিম সাউদির বলে আউট হয়ে থামে ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংস। ৮ চার আর ৫ ছয়ে এই দূর্দান্ত ইনিংস সাজিয়েছিলেন অজি অলরাউন্ডার। তবে শেষ দুই ওভারে মাত্র ১৪ রান যোগ করতে পেরেছেন শন মার্শ – মার্কাস স্টয়েনিস।