আফগানিস্তান জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশির আগমন
না। বাংলাদেশে কোনও টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করছে না খেলাটি। তবে অবশেষে পাওয়া গেল ইউটিউব চ্যানেল র্য্যবিটহোল বিডি। যারা অনলাইনে দেখাচ্ছে এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং। ভিন্ন কারণেই হন্যে হয়ে খুজতে হলো। কারণ ম্যাচটির ৫ সদস্যের ধারাভাষ্য প্যানেলে আছেন ‘ভয়েস অব বাংলাদেশ’ খ্যাত আতাহার আলী খান।
আগেই জানা গিয়েছিল এই সিরিজে দুইজন জিম্বাবুইয়ান এবং দুই জন আফাগানি ধারাভষ্যকারের সাথে ধারাবিবরণীতে থাকবেন বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল প্রান্তে বাংলাদেশের খেলা থাকলেই শোনা যায় আতাহার আলী্র দৃঢ় কন্ঠ। সাকিব-তামিমরা যখন মাতিয়ে বেড়ান ২২ গজ, তখন আতাহার আলী খান মাতান ধারাভাষ্য কক্ষ।
১৯৮৮ সালে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আতাহারের। এরপর এক দশক ক্রিকেট খেলে মাত্র ১৯টি ওডিআই খেলেছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ১৯৯০ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শ্রীলংকার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ রান করেছিলেন কোন চার ছক্কা ছাড়াই।
সে সময়ের বাংলাদেশ দল বিবেচনায় খারাপ ছিলেন না আতাহার। পরে বদলেছেন পেশা। মাঠ-ড্রেসিংরুম ছেড়ে জায়গা হয়েছে কাঁচঘেরা ধারাভাষ্যকক্ষে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশের বিভিন্ন ম্যাচ ছাড়াও আতাহার আলী খান ধারাভাষ্য দিয়েছেন বিশ্বকাপ-চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতেও। তবে নিউজিল্যান্ডের কঠোর কোভিড-১৯ নীতিমালার কারণে আতাহারের বাংলাদেশের সাথে যাওয়া হয়নি নিউজিল্যান্ডে।
আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে সিরিজের সবকটি ম্যাচে শোনা যাবে আতাহার আলী সুমধুর কণ্ঠস্বর। সাকিব-মুস্তাফিজরা যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে দেশের বাইরে যান, তখন যতখানি উদ্দীপনা কাজ করে আমাদের মাঝে। তেমনি দেশের বাইরে বাংলাদেশী কারও কণ্ঠস্বরও শুনতে পাওায়টাও ততখানিই স্বস্ত্বি আমাদের কাছে।