৬,৬,৬,৬,৬,৬ বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন বাবর আজমরা
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই খুনে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন করাচি কিংসের দুই ওপেনার শারজিল খান এবং বাবর আজম। উদ্বোধনী জুটিতেই এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন রেকর্ড ১৭৬ রানের জুটি। এই জুটিতে ছেঁদ পরে ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে বাবর আজম রান আউটে কাটা পড়লে।
বাবর আজম প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৪ বলে ধীর গতির ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আরেক ওপেনার শারজিল খান ছিলেন ব্যতিক্রম। একই ওভারে শারজিল খান আউট হবার আগে বোলারদের ওপর স্ট্রিমরোলার চালিয়ে ৫৯ বল মোকাবেলায় করেন ১০৫ রান।
শেষের দিকে ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের ছোট ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় করাচি কিংস।
১৯৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ২ বল মোকাবেলায় রানের খাতা খোলার আগেই ফিল সল্টকে সাজঘরে ফেরত পাঠান ইমাদ ওয়াসিম। দলের রান ১৩ পর্যন্ত যাওয়ার পর বিদায় নেন তিনে নামা অধিনায়ক শাদাব খানও।
তবে ওপেনার অ্যালেক্স হেলস দলের ছোট এই বিপর্যয় সামাল দেন ফাহিম আশরাফকে নিয়ে। ওয়াকাস মাকসুদের বলে দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে অ্যালেক্স হেলস যখন প্যাভিলিয়নে ফিরেন তখন তার নাএর পাশে ২১ বল মোকাবেলায় লেখা রয়েছে ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস।
শেষের দিকে এসে দলকে জয়ের আশা জাগান দুই ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও হুসাইন তালাত। ৩১ বলে ৪২ রান করা হুসাইন তালাত মোহাম্মদ নবীর বলে ফিরে গেলে ততক্ষণে জয় চলে আসে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হাতের মুঠোয়। দলের জয়ের বাকি কাজটা শেষ করেন ইফতিখার আহমেদ ও আসিফ আলি। নির্ধারিত ২০ ওভারের বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ।
ব্যাট হাতে ইসলামাবাদের হয়ে ৩৭ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার এবং আসিফ আলি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২১ রান করে।