নতুন রেকর্ড গড়লেন মিরাজ
সে ম্যাচে মিরাজের বোলিং ফিগার ছিল ২৯ রানে ৪ উইকেট। ওই ম্যাচে মিরাজের অফস্পিনের শিকার ছিলেন ওই ট্যুরে ক্যারিবীয় ওপেনার চন্দরপল হিমরাজ, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার এবং ওই ট্যুরের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।
২৫ মাস পর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে মেহেদি হাসান মিরাজ আরো একটি সাফল্যের ফলক স্পর্শ করেছেন। ৪৩ নম্বর ওয়ানডেতে আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার তার নামের পাশে জমা পড়লো ৪ উইকেট।
কিন্তু মাঝখানের সময়টা ভাল কাটেনি একদমই। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বরের পর আজকের খেলার আগে ২০ ম্যাচে আর ৩ উইকেটই পাননি মিরাজ। এই খেলা এছাড়া ৬ ম্যাচ ছিলেন উইকেটশূন্য। আর ১১ খেলায় ১টি করে উইকেট। ২ উইকেট পাবার ম্যাচই আছে মোটে তিনটি।
আজ আবার ফর্মে ফিরে তাই উৎফুল্ল মিরাজ। স্বীকার করেছেন অনেক দিন পর ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ভাল বোলিং করা সম্ভব হয়নি। তবে পরের ম্যাচে মানে নিজেকে ফিরে পাবার পিছনে নিজের কৃতিত্বের চেয়ে বরং সিনিয়র ক্রিকেটার ও স্পিন কোচ সোহেল ইসলামকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন মিরাজ।
খেলা শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাই মিরাজের কথা, ‘অনেকদিন পর ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পেরে আমি অনেক খুশি। দীর্ঘদিন পর আমরা ওয়ানডে খেলছি। প্রথম ম্যাচে খুব ভালো বোলিং করতে পারিনি। সিনিয়র খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তিন ওভার বা এমন ছোট ছোট স্পেলে বোলিং করেছি’।
সাফল্যের পিছনে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অগ্রজপ্রতিম রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই এবং আমাদের স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। তামিম ভাইও সবসময় আমাকে সাপোর্ট করেছেন’।
দীর্ঘদিন পরে আন্তর্জাতিকে ক্রিকেটে ফিরেছে টাইগাররা। আর ক্রিকেটে ফিরেই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে তামিম বাহিনী। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। এ জয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হ্যাট্টিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবং নিজ মাঠে সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ।