পরপর ২ ম্যাচ হারের পর সরাসরি যাকে দোষালেন উইন্ডিজ অধিনায়ক
ক্যারিবিয়ানদের বেধে দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ধীর গতির শুরু করেন লিটন কুমার দাস ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রানে আকিল হোসাইনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন। আগের ম্যাচে মাত্র ১ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত এই ম্যাচেও ছিলেন ব্যর্থ। দেশেশুনে শুরু করলেও তার ইনিংস থামে ১৭ রান করে।
শান্তর বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন তামিম। দলের রান ১০৯ পর্যন্ত নিয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেন তামিম। ৭৬ বল মোকাবেলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ রানের ইনিংস।
এরপর জয়ের বাকি কাজটা শেষ করেন সাকিব এবং মুশফিক। মাত্র ৩৩ ওভার ২ বল মোকাবেলায় ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে ও মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৯ রানে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। দলীয় মাত্র ১০ রানে ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিসকে হারায় তারা। এরপর ধারাবাহিক বিরতিতে ফিরে যান টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানরাও। ওপেনার জর্ন ওটলি অবশ্য ব্যাট হাতে প্রথম দিকে লড়াই করেছিলেন। তবে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে তামিম ইকবালের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি।
শেষের দিকে দলের হাল ধরেছিলেন রভম্যান পাওয়েল এবং আলজারি জোসেফ। জোসেফ ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরে গেলে আরও কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়েছেন পাওয়েল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন পাওয়েল। ইনিংসের ৬ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ক্যারিবিয়ানরা শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে গিয়েছিল ১৪৮ রানে।বল হাতে মিরাজ ৪টি, সাকিব ২টি, মুস্তাফিজ ২টি এবং হসান মাহমুদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের ভাষায়,” এটি খুবী হতাশার যে আমরা টানা দুইটি ম্যাচ ই হেরেছি,স্পিনদের জন্য খুবী পজিটিভ ছিল আজকের উইকেট টা।আমাদের কেওই ভালো পার্টনাশিপ করতে পারিনি যার ফলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে আমরা ভাল সংগ্রহ করতে পারিনি।আশা করছি আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।”