ফাঁন্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে
অসদাচারণের দায়ে চলমান ঘরোয়া মৌসুমের বাকি অংশের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বারোদার এই অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বারোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষস্থানীয় কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিএর সেক্রেটারি অজিত লিলি।
এ প্রসঙ্গে লিলি বলেন, ‘এপেক্স কাউন্সিল তাকে অসদাচরণের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এপেক্স কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে দীপক হুদা সংস্থার বিপক্ষে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করায় চলতি ঘরোয়া মৌসুমে বারোদার প্রতিনিধি হিসাবে বিবেচিত হবে না।
যদিও বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। তিনি মনে করেন, করোনার মাঝে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময় হুদার ঘটনাটি দলের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তরাখন্ডের বিপক্ষে রবিবারের (১০ জানুয়ারি) ম্যাচ দিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মিশন শুরু করেছিল বারোদা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামার আগে পান্ডিয়ার বিপক্ষে অযাচিত অভিযোগ করে দল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন হুদা। যা নিয়ে বোর্ডকে তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন।
চিঠিতে হুদা লিখেছিলেন, ‘১১ বছর বারোদার হয়ে খেলছি। এই মুহূর্তে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দলে রয়েছি। আমি প্রচণ্ড হতাশ এবং চাপের মধ্যে রয়েছি। আমার দলের অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া শেষ দু’দিন ধরে দলের বিভিন্ন ক্রিকেটার এবং অন্য রাজ্যের ক্রিকেটারদের সামনেও আমার উদ্দেশে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে ও (পান্ডিয়া)। আমি কী করে দলের হয়ে খেলি সে দেখে নেবে বলে হুমকিও দেয়। আমার ক্রিকেট জীবনে এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়িনি।