চার না বিশাল বিশাল ছক্কায় আজ যত রান করলেন তামিম
প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে আউট হওয়া তামিম আজ শনিবার বিকেএসপিতে শেষ ওয়ার্মআপ ম্যাচে করেছেন ৮০ বলে ৮০ রান। জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পাশাপাশি দ্বিতীয় সেশনে রানের দেখা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। একইভাবে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র ২ রানে আউট হওয়া লিটন দাসও ৪৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছেন আজ।
এরআগে প্রথম সেশনে ওপেনার নাইম শেখ ৫১, সাকিব আল হাসান ৫২, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩১ এবং ইয়াসির আলী রাব্বির ২৪ রানের ওপর ভর করে ৪৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৩ রানের মোটামুটি লড়াকু পুঁজি গড়েছিল এ ম্যাচের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
কিন্তু পরের সেশনে তামিম, শান্ত’র স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ের মুখে ওই স্কোরকে নেহায়েত অপ্রতুল বলেই মনে হলো। তামিম বাহিনী হেসেখেলেই টপকে গেছে মিরাজদের রান।
ওয়ানডে স্কোয়াডে যাকে ওপরের দিকে খেলানোর চিন্তা ভাবনা চলছে, সেই বাঁ-হাতি শান্ত আজ ৫১ বলে করেছেন ৬১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। তামিম ও শান্ত- দুই বাঁ-হাতির জোড়া অর্ধশতকে মিরাজ বাহিনীর ৪৫ ওভারে করা ২২৩ (৭ উইকেটে) রান টপকে অনায়াসে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তামিম বাহিনী।
অধিনায়ক তামিম ৩ ছক্কায় ৮০ রান করে ক্রিজ ছেড়ে আসেন। তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসেন ৫৩ বলে ৪৮ রান। লিটন কোনো ছক্কা না হাঁকালেও ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে দুটি ছক্কার মার।
এ দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের খুব কাছে চলে যায় তামিম বাহিনী। পরে মোহাম্মদ মিঠুন ১৭* ও সৌম্য সরকার ১২*অপরাজিত থেকে বিজয়ের বেশে যখন সাজঘরে ফেরেন তখনো ম্যাচের বাকি ছিল ৫৮ বল।
মিরাজ বাহিনীর বোলাররা কেউই সুবিধা করতে পারেননি। বাঁ-হাতের ইনজুরি কাটিয়ে এ ম্যাচ খেলা তাসকিন ৭ ওভার বোলিং করে পেয়েছেন এক উইকেট। দুই দ্রুতগতির বোলার তাসকিন (৭ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে) এবং হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট দখল করেন।