বাংলাদেশে ‘৩ বার’ নেগেটিভ হতে হবে হোল্ডারদের
এদেশে করোনা হানা দেওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। সেটিও গত মার্চ মাসে। এরপর কোভিড-১৯ এর জেরে একাধিক সিরিজ বাতিল হয় বাংলাদেশ দলের। করোনার প্রকোপে ঘরবন্দি থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। মাঝে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার কথা থাকলেও সেটা আর সম্ভব হয়নি।
এজন্য আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে তাকিয়ে বিসিবি। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আছে হোল্ডারদের। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া সেই সিরিজে ৩টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টির সূচি রয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাংলাদেশ সফরের সামনে এখন বড় বাধার নাম করোনা। এজন্য পরিস্থিতি দেখতে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য হলেন- ডি. অক্ষয় মানসিং ও পল স্লো। তারা বাংলাদেশে এসে নিরাপত্তার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
শেষপর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড অনুমতি দিলে বাংলাদেশ সফরে আসবে তারা। বাংলাদেশে এসে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে তাদের। সাথে তিনবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে। আজ (বুধবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানান, আইসিসি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল দলের সদস্য মানসিং।
মানসিং বলেন, ‘কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী কমপক্ষে সাত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন বাংলাদেশকে আক্রান্ত না করি। স্রেফ দিন নয়, তিনটি নেগেটিভ টেস্ট ফল আসতে হবে। বাংলাদেশে আসার আগে একটি নেগেটিভ টেস্ট হতে হবে।’
তিনটি কোভিড টেস্ট কোন প্রক্রিয়ায় হবে সেটিও জানান মানসিং, ‘প্রথম তিন দিনের জন্য আমরা ইন-রুম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেব। প্রথম টেস্টটি হবে পৌঁছানোর পর। তিন দিনের পর আমরা আরেকবার টেস্ট করাবো। সেটিতে নেগেটিভ আসলে আমরা আমাদের স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন করতে চাই।’
‘কিন্তু সাত দিন পার হবার আগে বাইরের কারো সামনে আসতে চাই না। আমরা ইন্ট্রা-স্কোয়াড অনুশীলন চালাবো ততদিন। সাত দিনের পর আমরা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে নেট সেশন করতে পারবো।’– সাথে যোগ করেন তিনি।