টি-২০ কাপের জন্য আশরাফুলের কঠিন ত্যাগ
ফিক্সিংয়ের সাজা কাটিয়ে বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আশরাফুল। গত আসরে বিপিএলে দল না পেলেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দল পেয়েছেন তিনি। অবশ্য দল পেতে হলে ফিটনেসের পাশাপাশি নিজেকেও প্রস্তুত রাখতে হবে সেটি বেশ ভালোভাবেই জানতেন তিনি। আর তাই গত আড়াই-তিন মাসে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল।প্রশ্ন
“আমি এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। গত আড়াই-তিন মাস স্কিল, ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেছি এবং বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। এই কাজগুলো করেছি, সামনে যদি কোন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হয় তখন যাতে আমি রেডি থাকতে পারি এবং আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টের জন্য আমি প্রস্তুত আছি।”
রাজশাহী দলে বড় নাম বলতে কেবল রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে রবিবার অনুশীলনের সময় চোট পান সাইফউদ্দিন। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। দলে বড় নাম না থাকলেও আশরাফুলের চোখে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।প্রশ্ন
“আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো মনে করি। দলটা ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। যেহেতু লোকাল ক্রিকেটারদের নিয়ে টুর্নামেন্টটা আয়োজন হচ্ছে, দলে যে ১৬ জন ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছে প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে বেস্ট মনে হয়েছে আমার কাছে।”
শান্ত, নুরুল হাসান, মেহেদি হাসান, মুকিদুলের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দলে রয়েছেন ফরহাদ রেজা, আশরাফুল, রকিবুল, আরাফাত সানির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। আশরাফুল মনে করেন টি-টোয়েন্টিতে তরুণ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও কাউন্ট হয়। আর তাই এই টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞদের সফল হওয়া নিয়ে আশাবাদী তিনি।প্রশ্ন
“আমার দলে কিন্তু তরুণ ক্রিকেটারও রয়েছে এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও রয়েছে। শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট না যেকোন ফরম্যাটেই অভিজ্ঞতা কাউন্ট হয়। আপনি যদি টো-টোয়েন্টির কথা ধরেন, যারা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তারাই কিন্তু সফল হচ্ছে। অবশ্যই তরুণ ক্রিকেটার দরকার আছে, আমি মনে করি আমাদের দলে সেই মানের ক্রিকেটারও আছে।”