আর্চারের বোলিং নিয়ে ভবিষ্যবাণী করলেন : শচিন টেন্ডুলকার
রাজস্থানের হয়ে বেন স্টোকস ১০৭ ও সঞ্জু স্যামসন ৫৪ রানে অপারাজিত থাকেন। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাঠ কাপাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত ফাস্ট বোলার জোফরা আর্চার। যিনি নিয়মিতই বোলিং করে থাকেন প্রায় ৯৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে। শুধু গতির ঝড় তুলেই নয়, বোলিংয়ে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ দিয়েও ব্যাটসম্যানদের কাবু করে থাকেন ২৫ বছর বয়সী এ পেসার। সম্পর্কিত খবর ধোনি কি আইপিএল থেকেও অবসরে যাচ্ছেন?ডায়েরিতে কি লেখেন ম্যাককালাম, উঠেছে প্রশ্নরাজস্থানকে ৮ উইকেটে হারালো হায়দরাবাদ
বল হাতে আর্চারের আগ্রাসন ভীষণ ভালো লেগেছে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের। তাই তো, নিজে ব্যাটসম্যান হলেও, আর্চারের উদ্দাম গতির বোলিংকে বাহবা দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি তিনি। পরিষ্কার জানিয়েছেন, আর্চারের আগ্রাসন দেখাটা তার কাছে চোখের শান্তি।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করছেন আর্চার। চলতি বছরে ওয়ার্নারকে বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত ৭ ইনিংসে বোলিং করেছেন তিনি। যেখানে ছয়বারই অসি ওপেনারকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন আর্চার। এ দু’জনের লড়াইয়ে আর্চারের আধিপত্যটা বেশ উপভোগ করছেন শচিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আপলোড করা এক ভিডিওতে শচিন বলেন, ওয়ার্নারের আসলে কিছুই করার থাকে না। তাকে তার নিজের জায়গায় অবস্থান করতে হয় এবং মুভমেন্টের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হয়। উইকেটে আর যা কিছু হয়, তাতে পুরোটাই আর্চারের হাত।
এসময় আর্চারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তিনি আরো বলেন, জোফরা আর্চারের মধ্যে আমি যে বিষয়টা দেখেছি, সে সবসময় উইকেটের খোঁজে থাকে। শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব, ওয়ার্মআপের পর প্রথম ওভারেই দেখা যায় স্পিড গানে ১৪৮, ১৫০, ১৫২ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেগে বোলিং করছে।
শচিন বলেন, সে দারুণ গতিতে বোলিং করছে এবং ব্যাটসম্যানদের উইকেট নিচ্ছে। তারা (ব্যাটসম্যানরা) আর্চারের বিপক্ষে মারতে চায় না এবং উইকেটও হারায়। আসলে আর্চার তাদের আউট করছে। তার বোলিংয়ে যে আগ্রাসন আমি দেখেছি, তা অনন্য। যা দেখাও চোখের জন্য আরামদায়ক। একজন বোলার দৌড়ে এসে উইকেটে জোরে বোলিং করল, দারুণ কিছু বাউন্সার দিলো- এসব দেখাও চোখের শান্তি।
চলতি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী আর্চার