অনেক বড় পুরষ্কার পেলেন মুস্তাফিজ
প্রথম ম্যাচে দলের পুঁজি ছিল মাত্র ১০৩ রান। তবু মুস্তাফিজ ছিলেন উজ্জ্বল। দ্বিতীয় ম্যাচে পুঁজি মোটামুটি, মুস্তাফিজ ছিলেন আরও দুর্দান্ত। সতীর্থ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট নিয়েছেন, কিন্তু ১ উইকেট কম নিয়েও মুস্তাফিজ ম্যাচের সেরা বোলার হয়েছেন বেশি প্রভাব বিস্তারী বোলিং করায়।
এই দুই ম্যাচে তাকে নিয়ে একমাত্র হতাশার জায়গা, ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে আনা ডেলিভারি বা বাঁহাতির জন্য বাইরে, বহু চর্চিত সেই স্কিল রপ্ত করার প্রমাণ সেভাবে মেলেনি। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বারবার বলে আসছেন, এটি নিয়ে কাজ চলছে, মুস্তাফিজ উন্নতি করছেন।
এই দুই ম্যাচে বা তার আগে দুটি দুই দিনের ম্যাচে বল পিচ করে টুকটাক সোজা হয়েছে বা দু-একবার ডানহাতির জন্য ভেতরে এসেছে বটে। তবে খুব আশা জাগানিয়া কিছুর ছাপ পড়েনি। এটুকু বাদ দিলে আশার উপকরণ তার বোলিংয়ে অনেক ছিল। অবশ্যই এই দুই ম্যাচ দেখে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার কিছু নেই। লম্বা বিরতির পর কেবলই শুরু হয়েছে ক্রিকেট। এই টুর্নামেন্টে পথচলা বাকি আছে আরও, সামনে আছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। জানুয়ারিতে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরীক্ষা। চ্যালেঞ্জ বাকি অনেক।
তবে ছোট ছোট উন্নতির পধ ধরেই তো বড় কিছুর দিকে ছুটতে হয়। মুস্তাফিজ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন, প্রেসিডেন্ট’স কাপ থেকে এই আশা করতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট।