এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ হওয়ার জন্য মালয়েশিয়ায় সর্বমোট অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ৭৫০০০০ নিবন্ধন করেন। ভাগ্যক্রমে মাত্র ১২০০০০ এদের মধ্যে সাকসেসফুল হয় যাদেরকে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন থেকে বৈধ করণ করা হয় মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার। আর বাকি ৬ লক্ষাধিক অবৈধ শ্রমিককে দেশে অবৈধ হয়ে যায় এবং তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হয়েছিল এবং প্রায় ৭০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে চলে যায় ৭০০ রিঙ্গে জরিমানা গুনে।

প্রশ্ন হচ্ছে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার আশায় নিবন্ধিত হয় অনেকেই মিগ্রেশন পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয় এবং অনেকের মেডিকেল হয়। কারো হয় নাই এবং কারো কোম্পানির ত্রুটির কারণে ভিসা হয়নি অনেকের কোম্পানি নানা জটিলতার কারণে মালয়েশিয়া সরকার এবং মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোটা না পাওয়ায় কোম্পানি গঠনতন্ত্র পেপার ডকুমেন্টস ঠিক না থাকায় অনেক কোম্পানি থেকে মালয়েশিয়ায় যারা এপ্লাই করেছে বৈধ হওয়ার জন্য তারা ভিসা পাননি।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মালয়েশিয়ায় কয়েক লক্ষ অবৈধ বাংলাদেশি যারা বৈধ হওয়ার আশায় ৫০০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার এবং তারও অধিক রিঙ্গিত দিয়েছেন ভিসা করার জন্য কিন্তু সোনার হরিণ ভিসা তাদের কপালে জোটেনি মালয়েশিয়ায় অবৈধ থেকে যায়।

এরকম কয়েক লক্ষ বাংলাদেশি যারা বৈধ হওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও সোনার হরিণ ভিসা কপালে জোটাতে পারেনি বর্তমান সময়ে এসে আবার গুঞ্জন উঠেছে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাষণ এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন অবৈধদের বৈধ হওয়ার এবং এই বিষয়টি মালয়েশিয়ার আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা দিন যার ফলে খবর মিডিয়ায় ফলাও ভাবে প্রচার করেছে।

যে মালয়েশিয়ায় জুলাইয়ের ১৫ তারিখ থেকে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে যদিও মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি সঠিকনয় বলে একটি নোটিশ জারী করেছেন। অনেক অবৈধ অভিবাসী আশায় বুক বেঁধেছেন হয়তোবা মালয়েশিয়ায় আরেকটি সুযোগ দেয়া হতে পারে যেহেতু উপর মহলে বিষয়টি আলোচনা রয়েছে এছাড়াও গতবার যারা বিভিন্ন ত্রুটির কারণে এবং হাজার হাজার ইঙ্গিত দেওয়া ভিসা লাগাতে পারেনি তাদেরকে অন্তত আর একটিবার সুযোগ দেয়া উচিত।