সাইফুদ্দিনের জন্য বড় দু:সংবাদ
যার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের তিনটি জোনে ভাগ করে দিয়েছে বিসিবি। সেগুলো হলো রেড, ইয়োলো ও গ্রিন। কোনো প্লেয়ার যদি রেড হয় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে বার্তা যাবে। আর এমনই দুই ক্রিকেটারের বার্তা পেয়েছেন বোর্ড। একজন স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও পেসার সাইফউদ্দিন। দুইজনে আছেন রেড জোনে।
আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের শরীরে আগে থেকেই অ্যাজমা আছে। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন গত দুই দিন যাবৎ জ্বরে ভুগছেন এবং তিনি খাবারের কোনো স্বাদ পাচ্ছেন না। আর ‘সারাবাংলা’ কে এমনটা জানিয়েছেন বিসিবি’র ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু।
তিনি বলেন, “আজ (২৫ জুন) পর্যন্ত আমরা দুইজনকে রেড পেয়েছি; আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিপ্লব গতকাল যখন ওই প্রশ্নত্তোর দিচ্ছিল তখন রেড হয়ে গেছে। ওর শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। পরে জানতে পারি ওর অনেক আগে থেকেই অ্যাজমা সমস্যা আছে। তো গতকাল ওর কোভিড চেক করিয়েছি। তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।”
“সাইফউদ্দিনের দুই দিন ধরে জ্বর ও খাবারের কোনো স্বাদ পাচ্ছে না। গতকাল থেকে এটা কাজ করছে। অ্যাপটা মোবাইল ভিত্তিক। প্লেয়াররা মোবাইলে ঢুকে ১৮টি প্রশ্নের উত্তর ফিলআপ করে দিবে। সেটা আমাদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে চলে আসবে। ওখান থেকে আমরা মনিটরিং করতে পারি। সবগুলি প্রশ্নের উত্তর দিতে ২০-২৫ সেকেন্ড সময় লাগবে। তারপর ওটা অটোমেটিক আপডেট হয়ে।”– যোগ করেন তিনি। নাসু আরও বলেন, “এই প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে আমরা প্লেয়ারদের তিনটি জোনে ভাগ করে দিচ্ছি। সেগুলো হলো রেড, ইয়োলো ও গ্রিন। কোনো প্লেয়ার যদি রেড হয় সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে সাব্বিরের কাছে (সাব্বির খান) ও দেবশীষের কাছে এসএমএস আসে যে এই প্লেয়ারটা রেড। এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই।”
এছাড়া বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, “অ্যাপটি লাল সংকেত দেওয়া মানে এই নয় যে কারো শরীরে করোনা আছে বা সে ন্যূনতম ঝুঁকিতে আছে। লাল সংকেতের মানে হলো ১৮টি প্রশ্নের কোনো একটি নেগেটিভ ছিল। অতএব তার সঙ্গ আমাদের কথা বলতে হবে। তার সঙ্গ কথা বলে আমরা নির্ধারণ করব কি হয়েছে। মূল ব্যাপার হলো আমিনুল ইসলাম কিংবা সাইফউদ্দিন কোভিড পজিটিভ নয়।”