করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে প্রয়োজন
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ লাখ ৬ হাজার ৮৪৮ জনের।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে অসহায় হয়ে পড়েছে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান। কেননা, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের সফল কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আর সে কারণেই দিন দিন বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।এমন পরিস্থিতিতে কারো শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলে কী করবেন?
কারও করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি।
অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হলে যা প্রয়োজন:
১. ভিটামিন সি (যথাসম্ভব) খেতে হবে।২. ভিটামিন ই খেতে হবে।৩. প্রতিদিন বেলা ১১টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহাতে হবে।৪. প্রতিদিন খেতে হবে কমপক্ষে ১টি করে ডিম।৫. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।৬. প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৫ লিটার পানি করতে হবে।৭. প্রতি বেলায় গরম খাবার খাওয়া।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের দেহেরে পিএইচ-এর মান ৫.৫ থেকে ৮.৫। তাই এর চেয়ে বেশি পিএইচ মানের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এর রাসায়নিক গঠন ভেঙে দিতে পারি।
এছাড়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিছু ঘরোয়া কৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।
ভারতীয় এক নাগরিক যিনি করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে বসবাস করেন, তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের বরাতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘরোয়া কৌশল। এই কৌশলে মাত্র ৪ দিনেই বিনাশ হচ্ছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে সেই স্ট্যাটাসটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এতে বলা হচ্ছে, চীনের প্রতিটি বাড়িতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আছে। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা এই ভাইরাসের জন্য আর কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। তারা এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তারা গরম পানির ভাপ দিয়ে এই ভাইরাসকে বিনাশ করছেন।
এ জন্য তারা মাত্র তিনটি কাজ করছেন। সেগুলো হল-
১. তারা দিনে চার বার কেটলি থেকে গরম পানি ভাপ নিচ্ছেন। ২. দিনে চার বার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করছেন।৩. আর দিনে চার বার গরম চা পান করছেন।
এভাবে টানা চার দিন এই তিনটি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করছেন তারা।
এভাবেই পঞ্চম দিনে হচ্ছেন করোনা নেগেটিভ বলে ওই স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়েছে।