করোনার হটস্পট এবং মৃত্যুতেও এগিয়ে বাংলাদেশের এই অঞ্চল
আর মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। যা শনাক্তের বিপরীতে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর সুস্থ হয়েছেন ৯৯২ জন। এর মধ্যে সাড়ে ৭শ’ রোগী বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। যা মোট রোগীর অন্তত ৩৫ শতাংশ।
প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার দুই মাসের মাথায় এসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট চট্টগ্রাম। এর মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার পর এখানে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে নগরীর ১৬ থানায় রোগীর সংখ্যা ২৩শ’। তবে গত ১৫ দিন ধরে এখানে রোগী সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এখানে মৃত্যুহার বেশি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অথচ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ হার দেড় শতাংশ। তেমনি সুস্থতার দিক থেকেও এগিয়ে এখানকার রোগীরা। বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ২৪২ জন এবং বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৫০ জন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৫০ মানুষ সক্রমিত হচ্ছে এবং প্রায় ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চিকিৎসকদের মতে, ইতোমধ্যে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং যুবক। আর মৃত্যুবরণকারীদের ৭০ শতাংশই বয়সে প্রবীণ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, সবাই মিলে চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করে যেন একটা গাইড লাইন তৈরি করতে পারে।
গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে তার ছেলের শরীরেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। অবশ্য দুজনই সুস্থ হয়ে ওঠেন।