একমাত্র রফিক পূরণ করেছিলেন মুশফিকের স্বপ্ন
এই সাবেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের চোখে বিশ্বের কিংবদন্তির তালিকায় তাকালে তিনি প্রথমেই দেখেন লারার নাম। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির সাথে ভালো সম্পর্কও ছিল রফিকের।দুইজনের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে রফিক জানান লারার দেয়া তার গ্লাভসের কথা, ‘লারা আমাকে একটা গ্লাভস দিয়েছিল। গ্লাভসটা রেখে দিয়েছি।
এখনো আছে। আমাকে বলেছিল, আমি তো ক্রিকেট থেকে অবসর নিলাম, তুই খেলবি এই গ্লাভস দিয়ে। আমি ওই গ্লাভসটা পরি না। আমি বাসায় রেখে দিয়েছি।বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ২০০৭ সালে। সেই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন রফিকও।
লারার সাথে ভালো সম্পর্কের দরুণ লারার ঘরে যেয়ে প্রায়ই গল্প করতেন তিনি। তাই মুশফিক তার কাছেই আবদার করেছিলেন লারার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।মুশফিককে লারার কাছে নিয়ে যেয়ে রফিক বলেছিলেন, এই ছেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হবে।
রফিকের সেই ভবিষ্যদ্বাণী ৪ বছরের মধ্যেই সত্যি হয়েছিল।মুশফিককে লারার অটোগ্রাফ নিতেও সাহায্য করেছিলেন তিনি।রফিকের ভাষায়, ‘লারাও আমাকে পছন্দ করেন। আমিও তাকে পছন্দ করি। ২০০৭ সালে আমি প্রায়ই লারার রুমে যেতাম। আমরা কথা বলতাম।
আপনি মুশফিকুর রহিমকে জিজ্ঞেস করেন।ও তখন নতুন, লারা বড় ভক্ত। বলে লারার রুমে যাবে। আমি তাকে নিয়ে যেয়ে লারাকে বললাম যে ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়, ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হবে। ওখানে একটা ব্যাট ছিল, সেটা দিয়ে লারার অটোগ্রাফ নিয়ে দিলাম।