১২৮ জন তরুণীকে বাঁচিয়েছেন সুনীল শেঠি
১৯৯৬ সালের একদিন মহারাষ্ট্রের কামাঠিপুরা যৌনপল্লীতে পুলিশ আচমকাই হানা দেয়। ৪৫০ জনের বেশি নারীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রায় প্রত্যেককেই জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছিল, বেশিরভাগই তখন ছিল নাবালিকা। উদ্ধার হওয়া ১২৮ জন ছিলেন নেপালের বাসিন্দা।
তাদের কাছে ছিল না বয়সের প্রমাণ ও পাসপোর্ট। নেপাল সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে পয়সা খরচ করতে নারাজ ছিল। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, যখন সবাই প্রায় বাড়ি ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিল ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভাব হয় সুনীলের। ওই সব নারীদের জন্য বিমানের ব্যবস্থা করেন। তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছার পুরো তদারকির ভার নিজের কাঁধে নেন বলিউডের এই নায়ক।
সুনীলের শাশুড়ি বিপুলা কাদরির একটি এনজিও ছিল। নিজে সমস্ত খরচ বহন করলেও এই ঘটনার সম্পূর্ণ ক্রেডিট তিনি দেন মুম্বাই পুলিশ ও শাশুড়ি পরিচালিত সংস্থাকে। শুধু তাই নয়, মিডিয়ার কাছেও এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেননি। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ওই সব নারীর নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি মিডিয়াকে এর মধ্যে জড়াতেন তা হলে তাদের পরিচয় প্রকাশ্যে চলে আসার আশঙ্কা ছিল।