গ্রামীণফোনের অবস্থা এতো খারাপ কখনই হয়নি
এর আগের গ্রামীণফোনের সর্বোচ্চ গ্রাহক হারানোর ঘটনা ঘটেছিলো ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। তখন অবশ্য অন্য কারণ ছিলো; সরকারি নির্দেশনা মেনে গ্রাহকদের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছিলো। যে গ্রাহকরা যথাসময়ে তা করতে পারেননি, তাদের সংযোগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিলো।
মুহাম্মদ হাসান, গ্রামীণফোনের এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান, এ বিষয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “সিমের সরবারহ কম থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ৯০ দিন কোনো সিম ব্যবহৃত না হলে তা অচল সংযোগ হিসেবে অভিহিত হয়। এ সব কারণেই সংযোগ হারানোর ঘটনা ঘটেছে।”
অবশ্য বছরের শুরুতেই গ্রামীণফোনের প্রথম বাংলাদেশি সিইও বলেছিলেন নতুন সিম সরবারহ বাড়ানোর অনুমতি না দিলে বাজারে গ্রামীণফোনের সিমের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত তার এই আভাসই সত্য হয়েছে। অবশ্য পরে অচল সংযোগ নতুন করে বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য অনুসারে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক ছিলো সাত কোটি ৬৪ লাখ। তাদের গ্রাহক বাড়ার অনুপাত বলছে যে, মার্চ মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক হওয়ার কথা ছিলো সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি। কিন্তু তা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির সিমের অপ্রতুলতা তৈরি হয় ২০১৮ সালে। যখন ০১৭ সিরিজের সিম ফুরিয়ে যায়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন পরে ০১৩ সিরিজের দুই কোটি নতুন সিম বরাদ্দ দেয়। কিন্তু সেই সেই বরাদ্দও ২০২০ সালের শুরুতে এসে শেষ হয়ে যায়। এই পর্যায়ে পুরোনো অচল সিম নতুন করে বিক্রি করার অনুমতি চায় গ্রামীণফোন। কিন্তু বকেয়া নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিরোধে অনুমতি পায়নি তারা।