করোনায় জর্জরিত কেবল অপারেটররা
প্রযুক্তির উন্নয়নে সংবাদকর্মী, কলাকুশলীদের নানা প্রয়াস, সর্বশেষ তথ্য কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের ঘরে। তাই জরুরি পরিস্থিতিতেও অবসর নেই এসব যোগাযোগ কর্মীদের। সার্ভার, স্যাটেলাইট কিংবা রিসিভার- তারের নানা মারপ্যাচে ঠিকই নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে সঙ্কট হলো, লকডাউন সময়ে চলাচলের জন্য অনুমোদিত জরুরি পরিষেবার আওতায় নেই এ সেবাখাত।
ডিজি টোয়েন্টি ওয়ান সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সাইফুল হোসেন বলেন, নিরবচ্ছিন্ন এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে আমাদের কর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। অনেক যায়গায় হেনস্তার শিকার হচ্ছে। সারাদেশে এ খাতের সঙ্গে জড়িত ৫ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা। অচলাবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ে পড়েছে কেবল ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা।
কেবল অপারেটর অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ বলেন, এই সেবাটি যদি জরুরি সেবার আওতাভুক্ত থাকতো তাহলে আমরা কিছুটা পরিত্রাণ পেতাম।
বেঙ্গল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজমুদ্দোজা বলেন, আমি প্রত্যেক সাবস্ক্রাইবার বা কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীকে অনুরোধ করব, আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যম বিল পরিশোধ করুন।
সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সরকারি প্রণোদনারও দাবি করেছেন কেবল মালিকরা।
ইউনাইটেড কমিউনিকেশন সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, প্রত্যেকে কেবল অপারেটরের লাইসেন্স রয়েছে। তাদের কর্মীদের আইডি কার্ডও রয়েছে।
এছাড়া সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কেবল নেটওয়ার্কের যন্ত্রাংশের দোকানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের জন্য খোলা রাখার দাবি করেছেন ক্যাকেল কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম মাল্টি চ্যানেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন মাসুদ বলেন, এই ভয়াবহ অবস্থার কারণে প্রত্যেক কেবল অপারেটর ভাইদের বেতন, বিল, ভ্যাট এসব দেয়া কঠিন হয়ে গেছে। এজন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার দরকার।