করোনা ভাইরাস কি বাতাসে ছড়ায়
তবে ভাইরাসটি সংক্রমণের মূল মাধ্যম হলো আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশি। আর তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের সাহায্যে। একবার কাশি দিলে বাতাসে তিন হাজারের মতো অনুকণা বা ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়ে, হাঁচির ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ১০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। এভাবে সংক্রমণকে ‘ড্রপলেট স্প্রেড’ বলা হয়। এসময় করোনাভাইরাসের কণাগুলো অল্প সময়ের জন্য বাতাসে ভাসে এবং মাটিতে পড়ার আগ পর্যন্ত প্রায় দুই মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই একে বায়ুবাহিত বলে মনে হয়।
কিন্তু বায়ুবাহিত রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাইরাসগুলো তিন থেকে ছয় ফুটেরও বেশি দূরত্বে বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কোভিড-১৯-এর অণুগুলো বড়। তাই করোনাভাইরাস বাতাসে ছয় ফুটের বেশি ছড়াতে পারে না। হাসপাতালে সংক্রমিত রোগী আছে এমন কক্ষে থাকায় অন্য কেউ আক্রন্তের ঘটনা এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।তবে দ্রুত হারে সংক্রমণের মূল কারণ হলো ভাইরাসটি মানবদেহের বাইরেও দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে এনআইএইচ প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা গেছে অনুকূল পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি কাবার্ডের উপর ২৪ ঘন্টা এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের উপর তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।বাতাসের কণার তুলনায় এই ভাইরাসের ড্রপলেট বা কণা ভারী হওয়ায় ভাইরাসটি বেশি সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না। মাটির টানে এটি কোথাও পড়ে যায়।
যেখানে সেটি পড়ে, সেখান থেকে করোনাভাইরাস হাতের মাধ্যমে ব্যক্তির মুখ, নাক, চোখ বা কান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তারপর রোগীর শ্বাসনালীকে আক্রমণ করে, হাঁচি-কাশির সাথে বেরিয়ে আবার সংক্রমণ ছড়ায়।সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এই সংক্রমণ রোধের প্রধান উপায়।সূত্র : আল জাজিরা ও ডাব্লিউএইচও