আম্পায়ারের ভুলে পেসারদের হতাশার দিন
কিন্তু দুই ফিল্ড আম্পায়ার মোর্শেদ আলি খান সুমন ও মাসুদুর রহমান মুকুল থাকেন নীরব। স্বপ্নের মতো শুরুর বদলে হতাশায় দিন শেষ করেছেন বিসিবি একাদশের গতিময় এ পেসার। বল ও ব্যাটের স্পর্শে যে শব্দ হয় সেটি স্পষ্টই শোনা গেছে মাঠের বাইরে থেকেও! পরে আরও ১০ ওভার বল করে উইকেটের দেখা পাননি মুগ্ধ।
শুরুতেই ‘জীবন’ পাওয়া ডানহাতি ওপেনার কাসুজা ঠিকই খেলে গেছেন ৭০ রানের ইনিংস। তাতে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে প্রথমদিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে।
অন্যদুই পেসার শরিফুল ইসলাম, সুমন খানও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শরিফুল ১৫ ওভার বল করে নিয়েছেন একটি উইকেট। সুমন ১৩ ওভার করে থেকেছেন উইকেটহীন। দিনের খেলা শেষে শরিফুল বললেন, ‘প্রথম ওভারেই মুগ্ধ উইকেটটি পেয়ে গেলে দিনের চিত্র অন্যরকমও হতে পারত। তখন আরও কয়েকটা উইকেট নেয়ার সুযোগ হয়ত আসত।’
কুয়াশা ভেদ করে রোদের তাপ যত বেড়েছে বোলারদের জন্য বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের উইকেট ততই নিষ্প্রাণ হতে থাকে। ব্যাটিং উইকেটের সুবিধা নিয়ে সফরকারীদের ওপেনিং জুটি হেসেখেলেই ছুঁয়ে ফেলে তিনঅঙ্ক।
পেসারদের বাজে দিন গেলেও স্পিনাররা পেয়েছেন সাফল্য। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন তুলে নেন ৩ উইকেট। এ অফস্পিনারের ৮ ওভারের স্পেল চাপ তৈরি করে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং লাইনআপে। অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র অফস্পিনে নেন দুটি উইকেট।
পেসারদের হতাশার দিন কাটার পেছনে বিকেএসপির উইকটের ভূমিকাও কম নয়। তাদের জন্য যে কিছুই ছিল না এখানে! শাতাদাত জানালেন, ‘স্পিন এখানে যতটা সহায়ক পেসারদের জন্য ততটা নয়।’
পেসার শরিফুল বললেন, ‘সাউথ আফ্রিকায় বাউন্সি উইকেটে খেলে আসার পর এমন উইকেটে বোলিং করা কঠিন। বাড়তি জোর খাটাতে হয়। উইকেটে পেসারদের জন্য কিছুটা সহায়তা রাখা হলে সেটি হয় উপভোগ্য।’
তরুণদের নিয়ে বিসিবি একাদশ সাজিয়েছেন নির্বাচকরা। অধিনায়ক আকবর আলীসহ বিশ্বজয়ী ৬ ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে দলে। তাদের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিকেএসপির উইকেটের আচরণ দেখে হতাশ হয়ে ফিরেছেন তারাও!