‘ধাক্কা মেরে বের করে না দেয়া পর্যন্ত অবসরে যাবেন না ধোনি’
উঠেছে। রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে সেখানে। অভিনেতা কামাল রশিদ খানকে এক হাত নিচ্ছেন ধোনিভক্তরা। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছায় বাইরে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ধোনি। তাকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা সিরিজের পর এখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলছে বিরাট কোহলির দল। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রী চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ধোনি।
২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর এই প্রথম চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন তিনি। এরপরেও অবসর নেয়ার কোনো ঘোষণা দেননি ধোনি। তিনি আদৌ আর জাতীয় দলে খেলবেন কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চিয়তা কাটছে না। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা জানতে চাইছেন, ধোনি কি জাতীয় দলে আছেন নাকি নেই? এ বিষয়ে দেশটির ক্রিকেটার থেকে শুধু করে বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতামত দিয়ে চলেছেন। আর ঠিক এই সময় বলিউড অভিনেতা কামাল রশিদ খান নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বোর্ড ধোনিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটাই নিয়ম। অতীতেও এমনটা ঘটেছে। নতুনরা এলে পুরাতনদের ঝেড়ে ফেলা হয়।
কিন্তু ধোনির মুখে অবসরের নামগন্ধ নেই। তিনি এখন সেই ক্রিকেটারদের অনুসরণ করেছেন, যাদের নিয়ম ছিল, যতক্ষণ না ধাক্কা মেরে বের করবে, ততক্ষণ বেরোবে না। এটা খুবই দুঃখজনক! এরপর সে সব ক্রিকেটারদের অনুসরণ না করে অপমানিত না হওয়ার আগে সম্মানের সহিত অবসর নিতে ধোনিকে ‘পরামর্শ’ দেন কামাল রশিদ । ধোনিকে নিয়ে এমন টুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন কামাল রশিদ। ধোনিকে অবসরের পরামর্শ দেয়ার যোগ্যতা তার নেই বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ। ক্রিকেটে নয়; নিজের চড়কায় তথা অভিনয় জগতে মনযোগ দিতে কামালকে পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
এদিকে ধোনি জাতীয় দলে ফিরবেন কিনা কিংবা তাকে চুক্তি থেকে কেন বাদ দেয়া হলো এমন সব প্রশ্নের কোনো জবাবই মেলেনি বিসিসিআইপ্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে। তবে ভারতের অন্যতম স্পিনার ধোনির একসময়ের সতীর্থ হরভজন বলেছেন, আমার মনে হয় না আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন ধোনি। সম্ভবত সাবেক অধিনায়কের ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের হয়ে ৯০টি টেস্ট, ৩৫০টি ওয়ানডে আর ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১৬টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ১৭ হাজার ২৬৬ রান করেছেন।