ব্যাটে-বলে ঢাকাকে পাত্তাই দেয়নি রাজশাহী
অল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় রাজশাহী। উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস এবং হজরতউল্লাহ জাজাই ৬২ রানের জুটি গড়েন। পাওয়ার প্লে নিরাপদে পার করলেও ইনিংসের নবম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে আরিফুল হককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। যাওয়ার আগে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
লিটন ফেরার পর জাজাইয়ের সঙ্গে ৭৪ রানের হার না মানা জুটি গড়েন শোয়েব মালিক। দুজনেই দেখেশুনে খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৬* রান করেন জাজাই। ৩৬ বলে ৩৬* রান করেন মালিক।
রাজশাহীর বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দিন ভুগতে হয়েছে শক্তিশালী ঢাকাকে। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী রয়্যালস। উদ্বোধনী জুটিতে ভালো করেনি ঢাকা। দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরে রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সবুজ উইকেটে আবু জায়েদ রাহির বলে ফিরে আফিফ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম (৫)।
এরপর আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন লরি ইভান্স (১৩)। ফরহাদ রেজার বলে অলক কাপালিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তারপর দেখেশুনেই খেলছিলেন বিজয় ও জাকের আলী।
কিন্তু দলীয় ৭৮ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান জাকের আলী (২১)। এরপরে একে একে ফিরে যান থিসারা পেরেরা, বিজয়, শহীদ আফ্রিদি ও আরিফুল হক। মাত্র এক রান করা পেরেরাকে অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ বানিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
৩৩ বলে ৩৮ রান করা বিজয়কে ফেরান অলক কাপালি। আফ্রিদিকে শূন্য রানে বিদায় করেন রাজশাহীর ইংলিশ রিক্রুট রবি বোপারা। আরিফুল হককেও (৫) রান আউট করেন বোপারা। ৭৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো ঢাকা ৯১ রানের মধ্যে সপ্তম উইকেট হারায়।
শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১২ বলে ১৯ এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ১০ বলে ১৮* রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৩৪ রানে থামে ঢাকা।
রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি। একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, অলক কাপালি ও রবি বোপারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃঢাকা প্লাটুনঃ ১৩৪/৯ (২০ ওভার)(বিজয় ৩৮, জাকের ২১; রাহি ২/৪৩)রাজশাহী রয়্যালসঃ ১৩৬/১ (১৮.২ ওভার)(জাজাই ৫৬*, লিটন ৩৯, মালিক ৩৬*; মেহেদী ১/২৩)