শান্ত-সৌম্যকে ছাড়াই মাঠে নেমে যে বিপদে পড়লো বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২৩ বল হাতে রেখে জয় পায় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথুম নিশঙ্কা করেন ৫২ বলে ৬৭* রান। লাসিথ ক্রুসপালের ব্যাটে আসে ৪১ বলে ৭৩* রান। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দলের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় এই ম্যাচটিকে পরীক্ষামূলক ম্যাচ হিসেবে নিয়েছে দুই দল। এ কারণে বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচটিতে খেলেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিজ্ঞ ওপেনার সৌম্য সরকার। শান্ত না থাকায় ম্যাচটিতে অধিনায়কত্ব করেন সাইফ হাসান।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ২১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায়। একে একে বিদায় নেন সাইফ হাসান (৪), নাঈম শেখ (৬) ও আফিফ হোসেন (৬)।
এরপর উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অংকনের সাথে ৮০ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির আলী রাব্বি। অংকনের ব্যাটে আসে ৩৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৪ রান। ইয়াসির আলী ফিরে যান ৪৫ বলে ৫১ রান করে। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কার মার। শেষদিকে ১৭ বলে ২০* রান করেন জাকির হাসান। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই উইকেট নেন আসিথা ফারনান্দো।
শান্ত-সৌম্যরা না খেললেও এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের তুলনায় ভালোই অভিজ্ঞ একাদশ গড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় ৯ ডিসেম্বরের ফাইনালের আগে একরকম ধাক্কাই খেলো বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃবাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলঃ ১৫০/৬ (২০ ওভার)(ইয়াসির ৫১, অংকন ৪৪; ফারনান্দো ২/২৯)শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলঃ ১৫১/১ (১৬.১ ওভার)(ক্রুসপাল ৭৩*, নিশঙ্কা ৬৭*; রানা ১/৪৪)