মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেননি হুমায়রা
কারণ এই গেমসে দেশকে আমিই প্রথম পদক এনে দিলাম। তবে লড়াইয়ে নেমে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারিনি। আত্মবিশ্বাস ছিল পদক জিতবো। তবে একটু নার্ভাস ছিলাম। পা পিছলে যাওয়ায় স্বর্ণের জন্য লড়াই করতে পারিনি।’
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পড়ার সময়েই এনএসসিতে কারাতে দেখতে আসতেন হুমায়রা। দেখতে দেখতেই খেলার আগ্রহ জন্মে। তাই ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমিকে নিয়ে শিখতে চলে আসেন কারাতে। এরপরই জড়িয়ে পড়েন কারাতের সঙ্গে। তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদের কাছে আমি এসএ গেমসের গল্প শুনেছি। এখানে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থাকে এটাও জেনেছি। দেশের পতাকা ধরার সুযোগও থাকে। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই কারাতে খেলতে চলে আসি। তাছাড়াও মার্শাল আর্ট মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। এ দুই কারণেই আমি কারাতেতে এসেছি।’
পরিবার নিয়ে অন্তরারা চার বোন। ছোট বোন সুমিকে নিয়ে তিনি সব সময় কারাতে খেলতে আসেন। পড়াশোনার কারণে সুমি খেলা ছেড়ে চলে গেছে।
নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে অন্তরা বলেন, ‘এ বছর আমার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এসএ গেমসের ক্যাম্পে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারিনি। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছাকে আপাতত বাদ দিতে হয়েছে। আমি এই পদকটি আমার পরিবার ও কোচদের উৎসর্গ করছি।’ মঙ্গলবার ৬৩ কেজিতে কুমিতে খেলবেন অন্তরা। এই ইভেন্টে তিনি সোনা জিতবেন বলে আশা করছেন।