সব সময় কি এমন সৌভাগ্য আসে
ক্যারিবীয় কিংবদন্তি বলেন, ‘ও যখন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে পেছনে ফেলল, আমি ধরে নিয়েছিলাম সে আমার রেকর্ড ভাঙছে। ভালো লাগছিল তখন। তার ইনিংস শেষে মাঠে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম আমি। আমি ধারাভাষ্যকারদের বলতে শুনছিলাম, সে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রান ছাড়াতে পারবে কি না।
তবে আমার মনে হচ্ছিল সে যদি একবার হেইডেনেরটা পেরোতে পারে, তাহলে আমার রেকর্ডটাও ভাঙতে পারবে। আমি এখনো মনে করি ওয়ার্নার তার ক্যারিয়ারে এই রেকর্ড ভাঙার আরও সুযোগ পাবে। ও অনেক আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়।’
অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির ওই টেস্টে ওয়ার্নার যখন পাকিস্তানি বোলারদের দুরমুশ করছিলেন, তখন ব্যাবসায়িক কাজে ওই শহরেই ছিলেন ব্রায়ান লারা। হঠাৎ জানতে পারেন যে, ওয়ার্নার তার রেকর্ড ভেঙে দিতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে মোটেও হীনমন্যতায় ভোগেননি ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র। বরং বেশ খুশি হয়েছিলেন।
রেকর্ড যার পায়ের নিচে গড়াগড়ি খেত, তিনি কেন হীনমন্যতায় ভূগবেন? খবর শুনেই তিনি অ্যাডিলেড ওভালের উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। উদ্দেশ্য ওয়ার্নারকে বরণ করে নেবেন। কিন্তু তখনই টিম পেইন ইনিংস ঘোষণা দিয়ে দেন।