বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৮ রান করতে সক্ষম হয় নেপাল। অপেক্ষাকৃত সহজ লক্ষ্যমাত্রা ১৫৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান দলনেতা নাজমুল হোসেন শান্ত ও ওপেনার নাইম শেখ।

যদিও অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশামত হয়নি স্বাগতিকদের। আগের দুই ম্যাচে দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সৌম্য সরকার। আজ শুরুতেই তার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৭ বলে ১১ রান করে আজ সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। তার বিদায়ে দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে আসেন শান্ত। যোগ দেন নাইমের সাথে। দু’জনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। নাইম ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি। এরপর বাকিটা কাজ সম্পন্ন করেন শান্ত ও ইয়াসির আলি। দ্রুতগতিতে রান তোলা শান্ত ৫৯ ও ইয়াসির ১৮ রানে অপরাজি থেকে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতে প্রথমে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নাজমুল হোসেন শান্ত। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্বাগতিক বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে নেপাল। সুমন খান ও তানভীর ইসলামের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় দলটি।

এক পর্যায়ে ৬৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে নেপাল। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা ১০০ রানের আগেই দলটির গুটিয়ে যাওয়ার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নেপালের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হন নয় ও দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সম্পাল কামি কারান কেসি। নবম উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। যা নেপালকে দলীয় শতরানের দেখা পেতে সাহায্য করে।

দলীয় ১৩৫ রানে কারানকে আউট করে এ জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী হাসান। ৪৭ বল মোকাবেলায় ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করেন কারান। সতীর্থকে হারানোর কিছুক্ষণ পর সুমন খানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন সম্পাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা সম্পালের আউটের মধ্য দিয়ে দলীয় ১৩৮ রানে শেষ হয় নেপালের ইনিংস। ৬৩ বল খেলে ৪ চারে এ রান করেন সম্পাল।

স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন সুমন ও সৈয়দ মিনহাজুল আবেদীন। এছাড়া দুটি করে উইকেট লাভ করেন তানভীর ও মেহেদী।