টেস্ট র্যাঙ্কিং থেকেও সাকিবকে বাদ দিল আইসিসি
জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার কথা আইসিসিকে না জানানোয় দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে এক বছর স্থগিত হয় নিষেধাজ্ঞা। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের আগে আর ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারছেন না এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। এই কারণে আইসিসির সবধরনের র্যাঙ্কিং থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের নাম মুছে ফেলেছে আইসিসি।
ভারত-বাংলাদেশের ইন্দোর টেস্টের পর টেস্ট র্যাঙ্কিং নতুন করে হালনাগাদ করেছে আইসিসি। নতুন র্যাঙ্কিংয়ের সাকিবের নাম নেই কোথাও। তাই জায়গায় উঠে এসেছেন বেন স্টোকস।
গত ২৯ অক্টোবর সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশ্য ভুল স্বীকার করায় সাজার মেয়াদ এক বছর কমেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু একবারও তা বিসিবি বা আইসিসিকে জানাননি তিনি। তা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর রায় অনুযায়ী আগামী ১২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকতে হবে সাকিবকে। এই সময়ে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে অংশ নেবেন তিনি। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও খেলায় ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের শাস্তির খবর পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ভক্তরা। শাস্তি ঘোষণার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন তাঁরা। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে ও ভক্তদের শান্ত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দেন সাকিব। নিজের কঠিন সময়ে ভক্তদের ভালোবাসার প্রশংসা করে সবাইকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।