শেষ টি২০,র একাদশ জানালেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ
অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের পরিবর্তে প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাইম শেখকেই দেখা যাচ্ছে লিটনের ওপেনিং সঙ্গী হতে। ভারতের মত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক, প্রথম ম্যাচের চাইতে দ্বিতীয় ম্যাচে যেন আরও পরিপক্ক।
৩১ বলে ৩৬ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ২৯ রান করা লিটনকে নিয়ে গড়েন ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিন নম্বরে নামা সৌম্যও আরও একবার আশা জাগিয়েছেন দারুণ কিছুর, তবে চাহালের বলে ২০ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৩০ রান করে ফিরে যান।
নাইম-লিটন-সৌম্যরা পথ দেখিয়ে গেলেও এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া থিতু হতে পারেনি কেউই, দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি মুশফিক, আফিফ, মোসাদ্দেকরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক অবশ্য পাশেই আছেন তাদের, আস্থা রাখছেন তরুণ তুর্কিদের উপর।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের ওপেনাররা খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। এটা ১৮০ এর বেশির উইকেট ছিল। উইকেট খুব ভালো ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। সৌম্য যখন আউট হলো আমাদের দুই ব্যাটসম্যানের উচিৎ ছিল সময় নেয়া। টপ অর্ডার ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের অন্তত ১৭৫ করা উচিত ছিল।’
আফিফ-মোসাদ্দেকের উপর আস্থা আছে উল্লেখ করে রিয়াদ যোগ করেন, ‘আসলে এখানে সহমর্মিতার কোনো অপশন নেই এবং আমি ওদেরকে কোনো দোষও দিব না।
কারণ আফিফ যে ধরণের খেলা খেলে থাকে সেটাই চেষ্টা করছিল। হয়তো আজকে কানেক্ট হয়নি। আর আপনি যে দুইজনের নাম বললেন তাদের উভয়ের প্রতিই আমার আস্থা আছে’
‘আমি মনে করি আমাদের পুরো দলেরই আস্থা আছে যে ওরা হয়তো পরবর্তী ম্যাচে ইন শা আল্লাহ শেষ করতে পারবে। আমারো কিছুটা দোষ আছে। আমিও ১৯ তম ওভারে আউট হয়ে গেছি। আমি যদি শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে পারতাম হয়তো আরো কিছু রান করতে পারতাম।’
দলের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন নয় বরং মোমেন্টাম ধরে রাখাতেই মনযোগ টাইগার কাপ্তানের, ‘আমি মনে করি না আমাদের খুব বেশি পরিবর্তনের দরকার আছে।
এখানে কিছু জায়গা আছে ব্যাটিংয়ে আমরা কি মোমেন্টাম মিস করেছি। আমাদের ১৭৫ করা উচিত ছিল। ১২ ওভারেই আমাদের ১০০ এর উপরে ছিল। আমাদের ১৭০-১৮০ করা উচিত ছিল। বিশেষ করে মিডলে কিছু উইকেট হারানোর কারণে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে।’