ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ভেসে যেতে পারে রোহিঙ্গা
টেকনাফের শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা সৈয়দুল আমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কার খবর ক্যাম্পে প্রচার করা হচ্ছে। এ ক্যাম্পটি পাহাড়ের তীরে ও ঝুপড়ি ঘর হওয়ায় তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় না নিলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,
দমকল বাহিনী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মী বাহিনীসহ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুকিঁপূর্ণদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে টেকনাফের নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাছাড়া সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।