এত খরুচে বোলার মোস্তাফিজ
শেষ দশ ইনিংসে উইকেট সংখ্যা ১২ দেখালোও আসলে এই উইকেট কাজে আসেনি। কারন বেশিরভাগ উইকেট লাস্ট দিকে, যখন ব্যাটসম্যান ওভার এগ্রেসিভ (অতি আক্রমণাত্মক) হতে গিয়ে উইকেট দিয়েছে। আসলে ওইসময়ে উইকেট পেলে নিজের স্ট্যাটিস্টিক বৃদ্ধি ছাড়া দলের কোনো উপকার হয় না, ডেথ ওভারে কম রানে ওভার শেষ করতে পারলে তবে দলের উপকার হয়। কিন্তু এই কম রান দিয়ে ডেথ বোলিং করতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থ মোস্তাফিজুর।
যতটুকু জানা গেছে, মোস্তাফিজুর অলস, পরিশ্রমী নয়। কাটার এন্ড স্লোয়ার দিয়েই চালিয়ে দিতে চায় পেস বোলিং। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে নানা বিশ্লেষণ করে অনুশীলনের মাধ্যমে মোস্তাফিজুরের বল খেলার ফরমুলা বের করে ফেলেছে সব দল। সহজেই মোস্তাফিজুরকে খেলতে পারে, যখনতখন ফিজের বলে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে পারে।
তাই মোস্তাফিজুরকে পরিশ্রমী হতে হবে, অধিক অনুশীলন করে বোলিংয়ে আরো ভ্যারিয়েশন (বৈচিত্র্য) আনতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো মোস্তাফিজুরের বোলিংয়ে গতিও কমে গেছে, ফিটনেসে উন্নতি এনে বলে গতিও বাড়াতে হবে।
দেখাযাক, এতকিছু করে মোস্তাফিজুর টিকে থাকতে পারে নাকি হারিয়ে গিয়ে সমর্থকদের আক্ষেপের কারন হয়।