শুধু আশরাফুল নয় এবার কপাল পুড়লো নাসির ও রাজ্জাকের
আগে জেনে নেওয়া যাক এই বিপ টেস্টটা আসলে কী? মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করা বিপ টেস্টের কাজ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জানা যায় কি পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারে, যা ক্রিকেটারদের প্রাণশক্তির নির্ণায়ক হতে পারে।
যা মূলত, ফিটনেস ক্যাম্পে ২০ মিটারের শাটল রানিংয়ের মাধ্যমে নির্ণায়ক করা হয় একেকজন ক্রিকেটারের বিপ টেস্টের ফলাফল। ক্যাম্প শুরুর প্রথমদিন ক্রিকেটারদের বিপ টেস্টে কম পয়েন্ট আসে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ফিটনেস নিয়ে আরও কাজ করার মধ্য দিয়ে যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে তা।
যার ফলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ক্যাম্প শেষে ফলাফলে আরও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। আসন্ন এনসিএল খেলতে হলে ক্রিকেটারদের জন্য এবার একটা মাপকাঠি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ফিটনেস ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে বাড়ানো হয়েছে বিপ টেস্টের পাশ মার্ক। গতবার যেখানে বিপ টেস্টের পাস মার্ক ছিল ৯, এবার তা বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১১ তে।
আজ সেই টেস্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। জানা গেছে বিপ টেস্টে ৯.৬ পেয়ে পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল। ফলে আবারো পরীক্ষা দিতে হবে তাঁকে। আশরাফুলের পাশাপাশি ব্যর্থ হয়েছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেনও, ৯.৭ পয়েন্ট তুলতে পেরেছেন তিনি।
ব্যর্থদের তালিকায় নাম উঠেছে স্পিনার আরাফাত সানি ও আব্দুর রাজ্জাকেরও। তবে ১১.১ নিয়ে বিপ টেস্টে পাস করেছেন পেসার আবু হায়দার রনি। অপরদিকে জাহিদুজ্জামান ১২.৯ এবং সৈকত আলী পেয়েছেন ১১.৪ পয়েন্ট। পাশ করার তালিকায় আছেন মার্শাল আইয়ুব, জুবায়ের হোসেন লিখন, শামসুর রহমান ও শুভাগত হোমরা।