ভারতীয় মিডিয়ার চোখে ভারতের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার ১০ কারণ
হারের কারণগুলো:-
১. ম্যানচেস্টারের এই পিচে ২৪০ রানও যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় দিনে ২৩ বলে ২৮ রান বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল।২. প্রথম দিন ভালো শুরু করলেও মাঝের ওভারে রান আ***াতে না পারা কাল হলো। রস টেলরের ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে ২৩৯ তুলে নিউজিল্যান্ড।
৩. বিশ্বকাপ শুরুর দিন থেকে ভারতের প্রতি ম্যাচে মিডল অর্ডার পালটেছে বার বার। এতোদিন রোহিত, রাহুল ও বিরাট কোহালির ব্যাট কথা বলায় উতরে গেছে।
৪. মোক্ষম দিনে ‘ল’ অফ অ্যাভারেজের শিকার হলেন রোহিত। পর পর সেঞ্চুরির পর আজ ১ রানে তিনি ফিরে গেলেন শুরুতেই। সে ধাক্কা সাময়িক সামলে নিলেও হার আ***াতে পারলো না ভারত।
৫. বড় ম্যাচে বিরাটের ব্যর্থতা ভারতকে ঠেলে দিল হারের কিনারায়। এই বিশ্বকাপে বার বার অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোলেও শতরান পাননি একটাও। সেমিফাইনালে ১ রানে ফিরে যাওয়ায় বিপদ বাড়ে।
৬. ঋষভ পন্থের পরিণতি বোধের অভাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কিউইরা। যে সময় সিঙ্গেলস নিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেয়ার কথা ছিল সেই সময় হঠাৎ বড় শট নেয়ার ভুল করে বসলো পন্থ।
৭. বিশ্বকাপে বার বার দেখা গেছে ভারতের মিডল অর্ডারের ওপর নির্ভর করা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপে আসার আগে প্রশ্ন ছিল এই মিডল অর্ডার নিয়ে। যার উত্তর সেমিফাইনালে উঠেও পেল না ভারত।
৮. ধোনির মন্থর ব্যাটিং বিপদ ডাকছিল মাঝে মাঝেই। কিন্তু আজ ইনিংস গড়ার কাজ করতে গেলেও শেষ করতে পারলেন না। বড় শট নেয়ার ব্যর্থতা ডেকে আনলো বিপদ।
৯. প্রতি ম্যাচে ব্যর্থ দীনেশ কার্তিক। সেমিফাইনালের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসেও নিজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলেন না তিনি।
১০. বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া গাপটিলের ফিল্ডিং দক্ষতা কাজে লাগলো বার বার। আজও তার ডিরেক্ট উইকেট ভেঙে ধোনিকে ফিরিয়ে দেয়া ভারতের হারের বড় কারণ।