এই গোলরক্ষককে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড়
শনিবার রাতে ম্যাচটি শুরুর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা ঝড় বইছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই ঝড় ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সবারই এক কথা-এতো মোটা শরীর নিয়েও গোলরক্ষক হওয়া যায়! তাও আবার একটা দেশের জাতীয় দলের গোলরক্ষক।
৩১ বছর বয়সী মুসার্ডের দৈহিক উচ্চতা কত, ওজনই বা কত-এসব কিছুই জানা যাননি। কারো তা জানার কথাও না। কারণ, শনিবার রাতের আগে তাকে কেই বা চিনত! তবে হুট করেই যখন নায়ক বনে গেলেন, সামনে হয়তো সবকিছুই জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এতটুকু জানা গেছে, তার বয়স ৩১। পেশায় হোটেলের প্যাস্ট্রি শেফ। মানে হোটেলের প্যাস্ট্রি রন্ধনর্কমী।
ফুটবল খেলেন সখের বশে। আর সেই শখের সুবাদেই নাদুসনুদুস শরীর শরীরটা তাকে অখ্যাত থেকে হঠাৎ বিখ্যাত বানিয়ে দিল! তার শরীর এতোটাই ভারী যে, তা কিছুতেই ফুটবলের সঙ্গে যায় না। বিশেষ করে এই শরীর নিয়ে একটা দেশের জাতীয় দলের গোলরক্ষক হওয়া অতি আশ্চার্যের ব্যাপারই। লাফিয়ে উঠা, পাখির মতো ঝাপিয়ে পড়া, ডাইভ দেওয়া-গোল ঠেকাতে কত কঠিন কাজই তো করতে হয় গোলরক্ষকদের। ডেভ মুসার্ড এই শরীর নিয়ে তা অনায়াসে করেন কিভাবে!
বিস্ময়াভিভূত হয়ে ফুটবলপ্রেমীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম তার ছবিই পোস্ট করছেন না। ছবির সঙ্গে ক্যাপশন হিসেবে মজার মজার মন্তব্যও করছে। একনজ যেমন লিখেছেন, ‘ইনি সেশেলের গোলরক্ষক। এর বেশি আর কি বলব!’ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডো এক সময় খুবই মেটা হয়ে গিয়েছিলেন। ফুটবল ছাড়ার পর তিনি আরও বেশি মোটা হয়ে গেছেন। একজন তাই এই ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, ‘সেশেলের হয়ে রোনাল্ডো নাজারিও ডি লিমা আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে এসেছেন।’
আরেকজন উইনির সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, ‘সেশেলের এই গোলরক্ষক ঠিক উইনির মতো।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘সেশেলের এই গোলরক্ষক দেশের সেনেটর সদস্য হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটা দৃশ্য নাকি আমার চোখের দেখা...গোলপোস্টের জন্য সেশেলের এই গোলরক্ষকের শরীরটা বেশিই ভারী।’