বাজাজের ছোট পালসার ৬২ হাজার
এর গ্রাফিক্সে রয়েছে লেজার এজ। ইঞ্জিন ঠিক আগের মতই আছে। ভারতে এটি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও এর দেখা মেলেনি।
চারটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে পালসার ১৩৫ এলএস। এগুলো হলো ক্রোম ব্ল্যাক, লেজার ব্ল্যাক, ডাইনো রেড এবং নিউক্লিয়ার ব্লু।
২০০৯ সালে প্রথম বাজারে আসে পালসার ১৩৫ এলএস। এটি বাজারে আসার সঙ্গে তরুণদের মন জয় করে নেয়। তরুণরা বাইকটি লুফে নেয়।
বাজাজ পালসারের লাইট ভার্সন ১৩৫ এলএস ভারতের প্রথম বাইক যেটাতে সংযোজন করা হয় ফোর ভাল্ব ডিটিএস-আই টেকনোলজি। এর ইঞ্জিনে বড় দুই ভাল্বের চেয়ে ছোট আকারের চারটি ভাল্ব যোগ করা হয়।
এই বাইকটির মাইলেজও অসাধারণ। এতে প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৬৮.৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। বাইকটির ওজন মাত্র ১২২ কেজি।
নতুন ভার্সনের পালসার ১৩৫ এলএস-এ যোগ করা হয়েছে বিএস ফোর ইঞ্জিন। যা জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধবও। ০ শুন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে বাইকটির সময় লাগে মাত্র ৫.১ সেকেন্ডে।
লেজার এজ ভার্সনের পালসার ১৩৫ এলএস আগের চেয়ে আরো বেশি মসৃণ গতিতে সড়কে চলবে। এর গিয়ার শিফটিংও হবে মসৃণ গতিতে।
সিঙ্গেল সিটের বাইকটিতে টো গিয়ার শিফটার সংযোজন করা হয়েছে। এই এডিশনে আগের ভার্সনের চেয়ে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৫ মিলিমিটার। এর গ্রাব রেইল আরোহীকে রাখবে নিরাপদ।
বাজাজ দাবি করছে নতুন ভার্সনের পালসার ১৩৫ এলএস এ আগের ভার্সনের চেয়ে ভালো কন্ট্রোলিং ও ব্রেকিং পারফরমেন্স পাওয়া যাবে। এতে ২৪০ মিলিমিটারের ভেনটিলেটেড ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। রিয়ারে আছে ড্রাম ব্রেক। প্রিমিয়াম ডিজাইনে তৈরি এই বাইকটি ইঞ্জিনে গান মেটাল দেয়া হয়েছে। এর অ্যালয় হুইল দুটিতে আকর্ষণীয় রঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছে।
বাইকটির ফ্রন্টে স্টাইলিশ হেডলাইট এবং টুইন পাইন পাইলট ল্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে। পেছনে আছে এলইডি টেইল ল্যাম্প।
পালসার ১২৫ এলএস এ সংযোজন করা হয়েছে ১৩৪.৬৬ সিসির ডিটিএসআই ইঞ্জিন। সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনের ম্যাক্স পাওয়ার ১৩.৩ বিএইচপি@৯০০০ আরপিএম। টর্ক ১১.৪ এনএম@৭৫০০আরপিএম। ৫ স্পিড গিয়ার ট্রান্সমিশনের এই বাইকটিতে ৮ লিটার জ্বালানি ধরে।
ভারতে পালসার ১৬০ এলএস বিক্রি হচ্ছে ৬২ হাজার ১৪৪ রুপিতে।