৪৫ ওভার শেষ,জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন আর মাত্র
টপ-অর্ডারের এ তিন ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেই চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায় আল-আমিন জুনিয়র (৪) ও জাকের আলি (৩) ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আউট হলে। তাদের বিদায়ে দলীয় ৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে দলের বিপর্যয় এড়ানোর প্রত্যয়ে জুটি গড়েন জাকির ও আরিফুল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তারা। অর্ধশতকের মাইলফলক থেকে জাকির যখন ২ রান দূরে তখন মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। আউট না হলেও দূর্ভাগ্যজনকভাবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
জাকিরের মাঠ ছাড়ার পর আরিফুলের সাথে ক্রিজে যোগ দেন মেহেদী হাসান। সমান ১ চার ও ছক্কায় দ্রুতগতিতে ২০ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি আবু হায়দার। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। দলের হাল ধরে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালানোর পর বাকি ব্যাটসম্যানদের পথ অনুসরণ করেন আরিফুল। ৩৮ রান করে তিনি আউট হলে ফের চাপে পড়ে সফরকারীরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৫.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৯ রান। রবিউল হক ১২ ও শফিকুল ইসলাম ব্যাট করছেন ১৬ রান নিয়ে। জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন আরও ৩৪ রান।
লখনৌতে এর আগে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৯২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন আরয়ান জুয়াল। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২৯ রানের বিনিময়ে মেহেদী সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। তাছাড়া সাইফ ও রনি লাভ করেন দুটি করে উইকেট। আর নিজেদের নামের পাশে একটি করে উইকেট জমা করেন শফিউল ও রবিউল।