সৌম্য সাব্বির ও লিটনকে টি২০ শিখালেন মুস্তাফিজ
সাব্বিরের আঘাতঃ ৪ উইকেট হারানোর পর দলের বিপর্যয় সামাল দিতে ক্রিজে নেমেছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে করিম জানাতের বল স্কুপ করতে গিয়ে বুকে আঘাত পান এই ব্যাটসম্যান। বলটি ব্যাটের কানায় লেগে সোজা গিয়ে আঘাত করে তার বুকে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে নুইয়ে পড়েন তিনি। এরপর ফিজিও এনে চিকিৎসা নিয়ে আবারও ব্যাটিং শুরু করেন সাব্বির।
একই পথের পথিক সাকিব-সৌম্যঃ দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মুজিব উর রহমানের বলে ১৫ রান করে রশিদ খানকে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপরের বলে সৌম্য সরকারকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার।
ওপেনিংয়ে ব্যর্থ মুশফিকওঃ লিটন দাস বিদায় নেয়ার পর সাকিব আল হাসানকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। ৫ রান করে ফরিদ মালিকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ক্রিজে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথম বলেই ফিরলেন লিটনঃ আফগানিস্তান স্পিনারদের কথা মাথায় রেখে ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ওপেন করতে নামেন মুশফিকুর রহিম।
তার সঙ্গী হিসেবে অপরপ্রান্তে দেখা যায় লিটন দাসকে। কিন্তু মুজিব উর রহমানের প্রথম বলেই উইকেট ছুড়ে দেন লিটন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির। কিন্তু নাইবের বলে তারাকাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৪ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। অন্যদিকে মুজিবের বলে নাইবের হাতে ধরা পড়ে ২৪ রান করে ফিরেন সাব্বির। সাব্বিরের পর ১৬ রান করে নাইবের বলে নাজিবুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আফিফ।
রশিদের বলে তাকে ক্যাচ দিয়ে ২ রান করে ফিরেন সাইফউদ্দিন। রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ১২ রান করে ফিরেন মোসাদ্দেক। অন্যদিকে ১৫ রান করে ফরিদের বলে শফিকুল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মোস্তাফিজ। এরই ফলে ১৯.৫ ওভারে ১৩৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৫ রানে জয় পায় আফগানিস্তান।
ব্যাট করতে নেমে ৭ বল মোকাবেলা করে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৫ রান করেন তিনি। বোলার মোস্তাফিজ ১৫ রান করতে পারলেও ব্যাটসম্যান সৌম্য-লিটন ছিলেন ব্যর্থ।