বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চুক্তির ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিসিবি
এর আগে বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। তালিকাটা ১৬জন থেকে ২০১৮ সালে নামিয়ে দশে আনা হয়। তবে চুক্তির মেয়াদ কমানোর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
এ ব্যাপারে তিনি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘এটা এখনও নতুন নিয়ম নয়। নিয়ম হলে, আমরা চাইলে চুক্তির আওতায় নতুন ক্রিকেটার আনতে পারবো। আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা পারফরম্যান্সের কারণে কেউ চুক্তি থেকে বাদও পড়তে পারে। এবার আমাদের চিন্তা-ভাবনা সেরকমই।’
এ সময় বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কমানোয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে কোন প্রভাব পড়বে না জানিয়ে আকরাম খান বলেন, ‘পারফরম্যান্সের কারণে এই নতুন নিয়ম করা হচ্ছে। এখানে পারফরম্যান্স করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, শৃঙ্খলাও আলাদা গুরুত্ব পাবে। আমরা সবকিছুই বিবেচনা করবো। বোর্ডের নিয়মে ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তির কথা বলা আছে। তবে বোর্ড চাইলে চুক্তি বাড়াতে বা কমাতে পারবে সেই কথাও বলা আছে। আমরা চাইলে তাই এতে পরিবর্তন আনতে পারবো।’
এদিকে বিসিবির চুক্তির আওতায় থাকা ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা মাসে ৪ লাখ টাকা বেতন পান। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পান ৩ লাখ টাকা বেতন। ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা যথাক্রমে ২ লাখ ও দেড় লাখ টাকা করে বেতন পান। এছাড়া ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকারা পান ১ লাখ টাকা করে বেতন।
এদিকে আকরাম খান মনে করেন, বিসিবি ক্রিকেটারদের পেছনে অনেক অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু সেভাবে তারা পারফরম্যান্স দিতে পারছে না। দলের বাইরে ১২-১৩ জন ক্রিকেটার আছে যারা সবসময় অন্যদের ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা তাদের জন্য চুক্তিতে ঢোকার ভালো একটা সুযোগ হবে।
বিসিবি’র শর্টলিস্টে থাকা ক্রিকেটার: মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ, মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি মিরাজ।