তার মতো এমন কোচ আর দেখেননি আকরাম খান
এদিকে, নতুন দুই কোচের সঙ্গে আজই পরিচিতিপর্বটা হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের। ছুটিতে দেশের বাইরে ছিলেন টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটায় ঢাকায় ফিরে সকাল সকালই অনুশীলনে হাজির হন তিনি। আজ দলের প্র্যাকটিস সেশনটাই তাই বলতে গেলে সরগরম ছিল।
স্কিল ক্যাম্পের পর বিসিবির ক্রিকেট অ'পারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে কোচদের মিটিং ছিল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক সাকিবও। সবাই মিলেই পরিকল্পনা গোছানোর কাজ শুরু করেছেন সামনের দিনগুলোর।
মিটিং শেষে আকরাম খান তো খুবই খুশি। নতুন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে তার কাছে একদমই অন্যদের চেয়ে আলাদা মনে হয়েছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে পরিকল্পনা এবং ক্রিকে'টের উন্নয়নের জন্য কি কি করা উচিত, এসব নিয়ে বেশ ভাবতে শুরু করেছেন নতুন কোচ।
আকরাম খান বলেন, ‘ডোমিঙ্গোর খুব ভালো পরিকল্পনা আছে। তিনি বেশ ভালোমানের পেশাদার কোচ। তার চোখ লম্বা সময়ের দিকে। আমি খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনেক কোচ দেখেছি। তিনি একদম আলাদা। তার পরিকল্পনা সবচেয়ে ভালো। যদি আম'রা এবং আমাদের বোর্ড তাকে সাহায্য করতে পারি, তবে আমাদের ক্রিকে'টের মান উন্নত হবে।’
শুধু দেশের সাফল্য নয়, দেশের বাইরে সাফল্য নিয়েও পরিকল্পনা আছে কোচের। আকরাম খান বলেন, ‘আম'রা দেশ ও দেশের বাইরে-উভয় নিয়েই ভাবছি। দেখছি কে দেশে ভালো করছে, বাইরে কে ভালো করছে। এই বিষয়ে তার চিন্তাভাবনা গভীর। তার পরিকল্পনা আমা'র ভালো লেগেছে। তিনি নির্বাচকদের কথাও শুনছেন এবং তাদের ভূমিকা নিয়েও কথা হয়েছে।’
বাংলাদেশে ফাস্ট বোলাররা সেভাবে গড়ে উঠতে পারেন না। ধীরগতির উইকেট তৈরি করা হয় ঘরোয়া ক্রিকে'টে, এটা বড় একটা প্রতিবন্ধকতা। তবে নতুন ফাস্ট বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট এসেছেন, এখন এই জায়গাটা নিয়েও নতুন পরিকল্পনা সাজাতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আকরাম খান বলেন, ‘আম'রা গত দুই বছরে আমাদের উইকে'টের অনেক উন্নতি করেছি, তবে এটা খুব কঠিন কাজ। এখন অনেক স্থানীয় ফাস্ট বোলার উঠে আসছে। আম'রা উইকেট আরও ভালো করার চেষ্টা করছি, যাতে বাইরে ভালো খেলতে পারি।’
বিসিবির ক'র্তা আরও যোগ করেন, ‘আমাদের শুরু করতে হবে। তার মানে এই নয় যে এটা নেই বলে আম'রা চাপে আছি। বিশ্বকাপের পর আমাদের নতুন বোলিং কোচ এসেছেন। আমাদেরও নতুন করে শুরু করতে হবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’