বাংলাদেশকে ১০ এ ৭.৫ দিলেন কুক
আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন ক্যাম্পে ফিল্ডিং সেশন শেষে ফিল্ডিংয়ে মার্কিংয়ের ব্যাপারে কুক বলেছেন, ‘আসলে এটা ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন হয়। টি-টোয়েন্টিতে আমরা ১০ এর মধ্যে ৬.৫ পাব। ওয়ানডেতে ১০ এর মধ্যে ৭.৫। আর টেস্টে ৭। ফিল্ডিংয়ে আমরা মধ্যম পর্যায়ে আছি। বিশ্বকাপে আমাদের ফিল্ডিং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে আমরা মধ্যম পর্যায়ে ছিলাম। আমি এটাকে শীর্ষ তিনে নিতে চাই। আমরা চেষ্টা করতে পারি তিনজন ফিল্ডারকে বিশ্বের সেরা তিনজনে পরিণত করতে। আমি মনে করি আমাদের প্রতিদিনই উন্নতি করার চেষ্টা করা উচিত। বেসিকে কিছু ভুল রয়েছে। সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি। বিশ্বকাপে কিন্তু আমরা বেশ কয়টি ভালো ম্যাচও খেলেছি। কিছু কিছু ম্যাচ হয়তো ফসকে গেছে। কিছু কিছু ভালো সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে এবং ছেলেরা সেগুলো জানে। সুতরাং সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি উন্নতি করার জন্য।’
‘আসলে এখন যে যেখানে আছে সেখান থেকে প্রত্যেকেই উন্নতি করতে পারে। বেসিকটা নিয়ে আসলে অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে কাজ শুরু করা উচিত। কিন্তু কখনো কখনো ক্রিকেটাররা ভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসে। যেমন এবাদত হোসেন। সে কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে আসেনি। কখনো কখনো এটা জানা কঠিন হয়ে যায়। তবে ফিল্ডিংয়ের বেসিকটা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই শুরু হওয়া উচিত।’ যোগ করেন তিনি।
বিশ্বকাপে বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বকাপ ও অন্যান্য যে সিরিজের সঙ্গে ছিলাম সেগুলোর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এগুলো আসলে সামগ্রিক রিপোর্ট। প্রতিটি টেস্টে আমাদের পার্সেন্টেজ কেমন ছিল, ওয়ানডেতে আমরা কতগুলো রান সেভ করেছি কিংবা কতগুলো রান বেশি দিয়েছি- এগুলোও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। বিশ্বকাপে আসলে ভালো কিছু ম্যাচ ছিল। তবে ফিল্ডিংয়ে আমরা ধারাবাহিক ছিলাম না। বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমরা দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছি। তবে ক্যাচ নেওয়ার বিষয়টা ধারাবাহিক হতে হবে। পরবর্তী কয়েকটি দিন আমরা এগুলো নিয়েই কাজ করব।’