‘হ*ত্যার পর কাশ্মীরিদের অচিহ্নিত কবরে দাফন করছে ভারত’
মাসউদ খান বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীর অত্যাচারে ৬ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি জনগণ আহত হয়েছেন।
কাশ্মীরে মোদি সরকার ‘সম্পূর্ণ গণহ*ত্যা’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট বলেন, সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে আমি এ কথা বলছি যে, জম্মু-কাশ্মীরে গণহ*ত্যা শুরু হয়েছে। নারীদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, নির্বিচারে কাশ্মীরি জনগণকে হ*ত্যা করছে ভারতীয় বাহিনী।
হ*ত্যার পর নিহতদের অচিহ্নিত কবরে দাফন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মাসউদ খান।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাশ্মীরের সঠিক চিত্র আসছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, কাশ্মীরিদের দুর্দশার বিষয়ে সাধারণত উপত্যকায় কী ঘটছে, তার একতরফা বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, কারণ ভারত সেসব রিপোর্টারকেই অনুমোদন দিচ্ছে, যারা তাদের দেয়া তথ্যমতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে অচলাবস্থা আরোপের পর সেখান থেকে কোনো খবর প্রকাশ হতে দিচ্ছে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ছাড়াও টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেটসহ সব ধরনের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
যদিও বর্তমানে কিছু ল্যান্ডফোনের সংযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অচলাবস্থা চলার সময় সেখানে কেউ নিহত হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। কেবল আট ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালের সূত্র বলছে, শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। যাদের অনেকের শরীরে আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষত দেখা গেছে।
হাসপাতালে গেলে আটক হওয়ার ভয়ে বহু লোক বাসায়ও চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়াও দুই ব্যক্তির স্বজনের সঙ্গে কথা বলেছে এএফপি, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন।