‘স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছি না, সবশেষ কিচ্ছু আনতে পারি নাই’
সাথি আক্তারের স্বামীর নাম সোহাগ। তিনি ভাঙারির ব্যবসা করেন। আ'গুন থেকে বাঁচতে দুই মেয়ে ম'রিয়ন ও সামিয়াকে নিয়ে বাইরে বের হতে পারলেও স্বামী সোহাগকে খুঁজে পাচ্ছেন না সাথি।
কা'ন্না জ'ড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমা'র স্বামী আমাদেরকে বের করে দিলেও এখন তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। জানি না সে কোথায় আছে। আমাদের সব শেষ। কিচ্ছু আনতে পারিনি। আমাদের ছোট্ট সংসার, এখন সব শেষ। আম'রা নিঃস্ব হয়ে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আকস্মিকভাবেই আ'গুন লাগে, আম'রা কিছুই বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। পরনের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। টাকা, আসভাবপত্র, কাপড়, টিভি, থালা-বাটি সব পুড়ে গেছে।’
সাথির পাশেই সাইদুর রহমান নামে একজন একটি টিভি নিয়ে বসে কাঁদছেন। কাছে গিয়ে কথা বলতেই তিনি জানান, পেশায় তিনি রিকশা চালক। সাইদুর রহমানও টিভিটি ছাড়া আর কিছুই বের করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘আমা'র ঘরে ফ্রিজ, কাপড় চোপড় কিছুই আনতে পারিনি। শুধু টিভিটা কাঁধে নিয়ে বের হয়েছি। আমা'র রিকশাটাও আনতে পারিনি, সেটিও পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আম'রা এখানে চাচাতো ভাই মিলে ১০ জন থাকি। সবারই একি অবস্থা, কেউ কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি। আম'রা গরিব মানুষ। জানি না এখন আমাদের কোথায় ঠাঁই হবে।’
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে আ'গুনের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আ'গুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়াল সার্ভিসের পাশাপাশি র্যা'ব-পু'লিশের সদস্যারা সহযোগিতা করছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আ'গুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি স'ম্পর্কে জানা যায়নি।