সোনা-রুপার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এখন নিসাবের পরিমাণ মোটামুটি ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা)।

অতএব, উপরের শর্তগুলো পাওয়া যাওয়ার ভিত্তিতে কেউ যদি ঈদুল আযহার তিনদিন তথা ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ যিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকার মালিক হন তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। এক্ষেত্রে অনাদায়ে তিনি ওয়াজিব তরকের দায়ে গুনাহগার হবেন।

কিছু সংশ্লিষ্ট মাসআলা

১। নাবালেগ, পাগল নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। তবে তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে থেকে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬

২। মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। মুসাফির দ্বারা উদ্দেশ্য হল যে ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৮ মাইল সফরের নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

৩। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য কুরবানীর তিন দিনই মুকীম থাকা জরুরী নয়। বরং কেউ যদি এই ৩ দিনের শুরুতে মুসাফির থাকে এবং শেষের দিকে মুকীম হয়ে যায় তবে নেসাবের মালিক হলে তার উপরে কুরবানী ওয়াজিব হবে।তবে কেউ যদি এই ৩ দিনের শুরুতে মুকীম থাকে এবং শেষের দিকে মুসাফির হয়ে যায় তাহলে তার উপরে কুরবানী ওয়াজিব হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫

৪। কুরবানী শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয়। মাতা পিতা সন্তানাদি ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে করলে তা নফল হবে। -রদ্দুল মুহতার৬/৩১৬

৫। গরীব ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। তবে সে কুরবানীর নিয়তে কোন পশু ক্রয় করলে সেই পশু কুরবানী করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

৬। যে সকল হাজী মক্কা, মিনা ও মুযদালিফা মিলে কুরবানীর সময় ১৫ দিন থাকবে তারা মুকীম। নেসাবের মালিক হলে হজ্বের কুরবানী ব্যতীত তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানীও ওয়াজিব। আর যারা মুসাফির থাকবেন তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। (ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/২৯৩)

লেখক: মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ, মুতাখাসসিস ফিল ফিকহিল ইসলামী, আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।